Home মতামত ইতিহাসের পাতা থেকে,১৭ মার্চ ১৯৭২

ইতিহাসের পাতা থেকে,১৭ মার্চ ১৯৭২

73

শাহ কামাল লাঞ্চু হক:
★১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। এ দিনেই রাজধানীতে উড়ে এলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মহীয়সী নারী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী।
★ ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটা বিশেষ বিমান তেঁজগা বিমানবন্দরে অবতরণ করল। বিমানটার নাম ” রাজহংস “। বিমানে ভারতীয় জাতীয় পতাকা তেরঙার পাশাপাশি বাংলাদেশে জাতীয় পতাকা আঁকা।
★ শ্রীমতি গান্ধীকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানালেন সস্ত্রীক বঙ্গবন্ধু।
★বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বঙ্গভবনে ( রাষ্ট্রপতি ভবন, তখন রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর আবাসস্থল) পৌঁছালেন শ্রীমতি গান্ধী। সফরকালে ৩ দিন সেখানেই অবস্থান করেছিলেন তিনি।
★ওই দিন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নৌকার আদলে নির্মিত মঞ্চ থেকে জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন শ্রমতি গান্ধী। ভাষণের প্রথম দু’মিনিট তিনি বাংলায় কথা বলেন। পরে দীর্ঘ ভাষণ বাংলায় দেয়ার অপারগতার জন্য ক্ষমা চেয়ে হিন্দিতে বক্তৃতা করেন। বক্তৃতার মাঝে তিনি রবি ঠাকুরের গান থেকে এক লাইন উচ্চারণ করেন – যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে…

★★ এই সফরের অর্থাৎ১৭ মার্চের আগে ঘটে যাওয়া উল্লেখ যোগ্য ঘটনা –

১) ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় সফরে কোলকাতা যান। দিল্লী থেকে উড়ে আসেন ইন্দিরা গান্ধী। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নয়, একান্ত বৈঠকে বঙ্গবন্ধু বলেন – কখন সৈন্য সরিয়ে নেবেন। জবাবে ইন্দিরা গান্ধী বলেন – সমঝে, ইয়ে আপকা বার্থ ডে গিফট হোগা। সফর শেষে যৌথ ইশতেহারে বলা হল – ২৫ মার্চ ১৯৭২ এর মধ্যে ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।
অথচ বাস্তবে ১৭ মার্চ ১৯৭২ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আসার সপ্তাহ খানেক আগেই শেষ ভারতীয় সেনাদল বাংলাদেশ ত্যাগ করে।
★★ এই সফরে ইন্দিরা গান্ধীর গুরুত্বপূর্ণ উক্তি-
১৮ মার্চ ১৯৭২ তাঁর সম্মানে দেয়া নৈশ ভোজে শ্রীমতি গান্ধী বলেন –
” ভারত বাংলাদেশের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বমূলক পরিবেশকে দূষিত করার জন্য ভিতরের ও বাহিরের বিরুদ্ধ মহল চেষ্টা করিবে।”