Home রাজনীতি অবশেষে মুক্ত আকাশে সম্রাট

অবশেষে মুক্ত আকাশে সম্রাট

32

স্টাফ রিপোটার : তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের আস্থার ঠিকানা ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ২ বছর ১০ মাস পর অবশেষে মুক্ত আকাশে ফিরলেন। জামিনে কারামুক্ত হয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল ছাড়েন। পরে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, সরোয়ার হোসেন মনা, হারুনুর রশিদ, নাজমুল হোসেন টুটুল, কামাল উদ্দিন খান, মহসিন মাহমুদ, মজিব মহসিন পিয়াস, আলী আকবর বাবুল, মুরসালিন আহমেদ, খোরশেদ আলম মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মারুফ, উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাদাত হোসেন সেলিম, দক্ষিণ যুবলীগের শিল্পীর ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ পলাশ, আইন সম্পাদক শাহনাজ পারভীন হীরা, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আকতার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গোফরান গাজী, ধর্ম সম্পাদক আবুল কাশেম খাঁ সহ উপ সম্পাদক, সহ সম্পাদক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সহ ৭৫ টি ওয়ার্ডের হাজার হাজার নেতাকর্মী। এসময় ১৫ আগস্ট নিহত হওয়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। বেলা চারটায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় থাকলেও আড়াইটা থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় শ্লোগানে শ্লোগান জড়ো হতে শুরু করেন যুবলীগের হাজারো নেতাকর্মী। ধানমন্ডির কলাবাগান, সোবহানবাগ মসজিদ, ধানমন্ডি ১১ নম্বরসহ অত্র এসময় নেতাকর্মীরা ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনা এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘পঁচাত্তরের খুনীরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘একাত্তরের খুনীরা হুশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি শ্লোগান দেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের শেষে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্রাট স্লোগান দেন, শেখ হাসিনার ভয় নেই, রাজপথ ছাড়ি নাই’। এসময় সাংবাদিকরা জানতে চান রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কিনা? জবাবে সম্রাট বলেন, আমার রক্তে রাজনীতি। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী ছিলাম, কর্মী হিসেবেই আজীবন কাজ করবো। নেত্রী যে নিদের্শনা দেবেন তাই পালন করবো। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। এক প্রশ্নের জবাবে যুবলীগের এই নেতা বলেন, জাতির শোকের মাসে স্বাধীনতা বিরোধীরা যে আস্ফালন করছে, দেশের যুব সমাজ তা মেনে নেবে না। বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসের পথ বেছে নিলে যুব সমাজ রাজপথেই মোকাবিলা করবে। এদিকে, গতকাল শুক্রবার শ্রদ্ধা জানাতে আসা হাজারো নেতাকর্মী সম্রাটকে রাজনীতিতে দ্রুত সক্রিয় হওয়ার দাবি তুলেছেন। তারা বলেছেন, ঢাকা শহরে বিএনপি-জামায়াত এখন মাঝে মধ্যেই আস্ফালন করছে, তারা মিছিল সমাবেশ করে সন্ত্রাস সৃষ্টির পায়তারা করছে। এ জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবি দ্রুত সম্রাট রাজনীতিতে সক্রিয় হোক। এতে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নাশকতার পথ বন্ধ করা সম্ভব হবে। কারণ সম্রাটের ডাকে এক মূহূর্তে নেতাকর্মীরা জড়ো হন। সূত্রাপুর থেকে আসা যুবলীগ কর্মী আবদুল আলীম বলেন, সামনে নির্বাচন। বিএনপি-জামায়াত এখন সন্ত্রাস-নাশকতার পথে হাটছে। এ জন্য রাজপথে যুবলীগকে সক্রিয় করতে হলে ‘সম্রাট’ ভাইকে সক্রিয় হতে হবে। বছিলা থেকে আসা আবু হানিফ তালহা বলেন, রাজপথের সম্রাটকে রাজপথেই মানায়। কর্মীবান্ধব নেতার বড্ড প্রয়োজন। রামপুরা থেকে আসা যুবলীগ কর্মী খোকন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষহীন ও কর্মীবান্ধব যুবনেতা সম্রাট ভাইকে আবারও রাজপথে দেখতে চাই। ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডিএসসিসি ৬৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রাসেল ভূঁইয়া। তিনি বলেন, দলের দু:সময়ের পরীক্ষিত কর্মী সম্রাট। সবাই পালিয়ে গেলেও তিনি পালাবেন না। অনেকে জানিয়েছেন, যুবলীগের এই আইকনের মুক্তিতে আবারো উজ্জীবিত-উৎফুল্ল হয়েছে দলের পাড়া-মহল্লা ও ওয়ার্ড-ইউনিট নেতাকর্মীরা।