Home সাহিত্য ও বিনোদন ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’

১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’

22

স্টাফ রিপোটার: শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শিল্পের সকল শাখার সমন্বয়ে দেশব্যাপী বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের বাস্তবায়িত রুপ ‘গণজাগরণের সংগীত’এই সামগ্রিক উন্নয়ন পক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে ৫ শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে ২-১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত চলছে ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব।’

‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’

আজ ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬ দিনব্যাপী গণজাগরণের সংগীত উৎসব এর ৪র্থ দিনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত শিল্পীদের অংশগ্রহণে চলছে এই উৎসব। ৪র্থ দিনে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফারহানা চৌধুরী বেবীর নৃত্য পরিচালনায় পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য ‘অচিন পাখি’ ও ‘রবো না রবো না’। নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ একাডেমি অফ ফাইন আর্টস। এর পর একক সংগীত ‘কে তুমি বসি নদীর কূলে’ পরিবেশন করেন সুনীল সূত্রধর । একক সংগীত ‘পাথরের পৃথিবীতে কাঁচের হৃদয়’ পরিবেশন করেন মমতাজ রহমান লাবণী; ‘ওগো বিদেশিনী তোমার চেরি ফুল নাও’ পরিবেশন করেন অনুপম চক্রবর্তী। এরপর আবারো দলীয় নৃত্য। মোফাসসল আলিফ এর নৃত্য পরিচালনায় ও অ্যালিফিয়া স্কোয়াড দলের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য ‘গর্জে ওঠো আবার ‘।

আবারো একক সংগীত ‘মধুর মধুর কথা কইয়া’পরিবেশন করেন কানিজ রুমকী তিথী। ‘অন্ধ হারা নয়ন আমার’ পরিবেশন করেন প্রিয়াংকা হালদার; ‘আমায় ভাসাইলি রে’ পরিবেশন করেন পরিমল কুমার ভৌমিক; ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’ পরিবেশন করেন পুনম মির্জা। ‘পরাণ বন্ধুরে’লোকগীতি পরিবেশন করেন পলাশ শীল; ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে ’পরিবেশন করেন মো: আব্দুর রউফ। ‘নীলা তুমি কি চাওনা’পরিবেশন করেন মো: খাজা জামান, একক সংগীত ‘ইতরপনা কার্য আমার’ পরিবেশন করেন প্রিয়া বিশ্বাস। ‘লোকে বলে মন দিলে’ পরিবেশন করেন ক্যামল কুমার মণ্ডল এবং ‘ঝিনুকে মুক্তা হলে’পরিবেশন করেন দেলোয়ার হোসেন বয়াতী।

সবশেষে পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য মোফাসমল আলিফ এর পরিচালনা ও অ্যালিফিয়া স্কোয়াড দলের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় ‘আর্ট অন মোশন (অন স্টেজ)’। এবং এম আর ওয়াসেক এর নৃত্য পরিচালনায় নন্দন কলা কেন্দ্রের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ এবং ‘ ও চলো এগিয়ে যাবো’।

১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত চলা এ সংগীত উৎসবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত ১১ টি সংগীত দল পরিবেশন করছে – অন্তরা, সুরশ্রী, সঞ্চারী, রাগিনী, সুরধ্বনি, সুরসপ্তক, স্বরলিপি, গীতাঞ্জলি, গীতালি, সুরতরঙ্গ এবং সুরলহরী।

’গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব’

এদিকে ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সকল বিভাগ ও জেলাগুলোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ে সকল জেলায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই সারাদেশব্যাপী আমাদের এ আয়োজন। সংস্কৃতি চর্চা্র মাধ্যমেই শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ মানবিক বাংলাদেশ গঠন সম্ভব’।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যাবস্থাপনায় সারাদেশে ৬৪ জেলায় ধারাবাহিকভাবে এ উৎসব আয়োজন চলছে।