Home সারাদেশ বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা চর নাম “চর বিজয়’।।পেরিয়েছে খুজে পাওয়ার ৬ বছর

বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা চর নাম “চর বিজয়’।।পেরিয়েছে খুজে পাওয়ার ৬ বছর

18

কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা চর নাম চর বিজয়। এটি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিনে সমুদ্রের গভীরে এর অবস্থান। চারদিকে শুধু পানি আর পানি মাঝখানে এই চর। যার আয়তন প্রায় ৫ হাজার একর। সমুদ্রে সৌন্দর্যের জৌলস বয়ে চলছে। লাল কাকড়া আর অতিথি পাখির বিচারণে আকাশ আর চর মিলে একাকার হয়ে থাকে। জেলেদের কাছে এটি ‘হাইরের চর’ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ২০১৭ সালে সাগরে ভ্রমণরত কয়েকজন পর্যটকের নজরে আসে। এর পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ এ দ্বীপটি পরিদর্শনে যান। তখন এ দ্বীপটির নামকরণ করা হয় চর বিজয়। তবে এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলছেন, সামুদ্রিক নানা গবেষণার জন্য একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে এ চরটি খুজে পাওয়া ১১ জনের গড়া কুয়াকাটা চর বিজয় সোসাইটি নামের একটি সংগঠন সোমবার রাতে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চর বিজয়ের ৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে। এ উপলক্ষে কাটা হয় কেক। আকাশে উড়ানো হয় ফানুস। একই সাথে কুয়াকাটা শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজন করে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এতে যোগে দেয় পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চর বিজয় সোসাইটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.খলিলুর রহমান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের এসপি আবুল কালাম আজাদ, ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের অফিসার ইনচার্জ জনাব হাসনাইন পারভেজ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা চর বিজয় সোসাইটির সদস্য সচিব সাংবাদিক হোসাইন আমির, সদস্য মোসাম্মদ সীমা আক্তার। এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাকারিয়া জাহিদ।এসময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার কর্মরত গনমাধ্যম কর্মী সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুয়াকাটা চর বিজয় সোসাইটির সদস্য সচিব ও টুরিজাম ম্যানেজম্যন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুটুটুমের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক হোসাইন আমির বলেন, সে দিন ছিল ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর। সৈকতের একটি চায়ের দোকানে বসে আমারা কয়েক জন মিলে কথা বলছিলাম নুতন জায়গায় বেড়াতে যাব। হঠাৎ করে এক জেলে বলেন ভাই সাগরের মাঝে জেগে উঠেছে বিশাল একটি চর। তখন বুদ্ধি করলাম কি ভাবে যাব। পরে ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিলাম “নতুনের সন্ধানে আমরা যাচ্ছি”, আপনারাও সঙ্গী হতে পারেন। এরপর ২০১৭ সালে ৫ ডিসেম্বর ১১ জনে মিলে ট্রলার যোগে ওই চরে যাই। এর পর শুরু হয় এ চরটির শুভ সুচনা। দেখতে দেখতে ৬ বছর পেরিয়ে গেল। তাই কুয়াকাটার সৈকতে চর বিজয়ের ৬তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। ইতোমধ্যে এ চরটি পর্যটকদের কছে ব্যাপক পরিচিতিও পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর শীত মৌসুমে কয়েক লাখ অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আর শীত কমে গেলে আবার পাখিগুলো যে যার মতো অন্যত্র চলে যায়। প্রতিদিনই পর্যটকরা ট্রলার যোগে এ চরটিকে দেখতে যায়। কুয়াকাটা সৈকত থেকে ট্যুরিস্ট বোট নিয়ে মাত্র দেড় ঘণ্টায় এ চরটিতে পৌঁছানো যায়। তবে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা এ যেন এক অনন্য ভুবন ‘চর বিজয়’।