Home সাহিত্য ও বিনোদন ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী, সুরকার, সঙ্গীতজ্ঞদের স্মরণে আলোচনা ও...

‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী, সুরকার, সঙ্গীতজ্ঞদের স্মরণে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

56

ডেস্ক রিপোর্ট: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ স্মরণে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ৪ জন বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, খন্দকার নুরুল আলম, আব্বাস উদ্দিন আহম্মেদ এবং উদয় শংকর রায় স্মরণে ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

২২ মে সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় বিশিষ্ট বাঙালি কবি, নাট্যকার ও সংগীতস্রষ্টা দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এবং স্বনামধন্য বাংলাদেশী সংগীত পরিচালক ও সুরকার খন্দকার নূরুল আলম স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আয়োজনের প্রথম দিন। বিশিষ্ট বাঙালি কবি, নাট্যকার ও সংগীতস্রষ্টা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়কে নিয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন শাহনিাজ নাসরিন ইলা, সহযোগি অধ্যাপক সঙ্গীত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং খন্দকার নূরুল আলম স্মরণে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সরকারি সংগীত কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান জনাব ড. কমল খালিদ। আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. শামীম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের প্রভাষক মেহফুজ আল ফাহাদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব রাজীব কুমার সরকার। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন ‘দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের পুরোনো গান যেগুলো রেকর্ড করা আছে সেগুলোর স্বরলিপি করা হলে তা সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া হাসির গানগুলো সংরক্ষণ করা হলে তরুণ প্রজন্মরাও আগ্রহ নিয়ে গাইবে।”

বক্তারা আরো বলেন- “গানের মধ্যে প্রবল হাস্যরসের মাধ্যমেও যে বার্তা দেয়া যায় তো সৃষ্টি করেছেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। তিনি গেয়েছেন –‘এমন চাঁদের আলো মরি যদি সেও ভালো’.. এসব সুর সংরক্ষণে তিনি কিছুটা উদাসীন ছিলেন” উল্লেখ করে এ প্রজন্মেরা জন্য তা সংরক্ষণের্ও তাগিদ তুলে ধরেন আলোচক বক্তারা।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সম্মানিত সচিব জনাব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ বলেন- এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বাংলা সাহিত্য ও ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। বরাবরই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এসব গুণী মানুষদের সৃষ্টি করা গান, নাটক ও সাহিত্য চর্চা এবং সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। মুলত পরবর্তী প্রজন্মের নিকট এবং সৃষ্টিকর্ম তুলে ধরাই আমাদের মুল লক্ষ্য।”

আলোচনা পর্বের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় স্মরণে শুরুতেই সংগীত পরিবেশন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান। তিনি পরিবেশন করেন ‘সে কেন দেখা দিল’ ও ‘আজি নুতন রতনে’গান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও সংগীত শিল্পী ড.অণিমা রায় পরিবেশন করেন ‘ধন ধান্য পুস্প ভরা’ ও ‘আজি এসেছি এসেছি’ গান। আফরোজা খান মিতা পরিবেশন করেন ‘মম মনের বিজনে’ ও আজি তোমার কাছে ভাসিয়া যায়’ এবং হিমাদ্রী রায় পরিবেশন করেন ‘বেলা বয়ে যায়’ গান।

খন্দকার নুরুল আলম স্মরণে সংগীত পরিবেশনা: সংগীত শিল্পী স্বরলিপি পরিবেশন করেন ‘এক বরষার বৃষ্টিতে ভিজে’; সাবরিনা নওশিন টুশি পরিবেশন করেন ‘জনম জনম গেল; ও ‘ওই রাত জাগে (ডুয়েট গান); এম এ মোমিন পরিবশেন করেন ‘তুমি এমন জাল পেতেছো সংসারে’ ও ‘এ আঁধার কখনও যাবেনা মুছে’ এবং শিল্পী সোহনুর রহমান সোহানের

কন্ঠে পরিবেশিত হবে ‘চোখ যে মনের কথা বলে’ ও ‘ওই রাত জাগে (ডুয়েট গান)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইমামুর রশিদ এবং আযহারুল ইসলাম রনি।