Home সারাদেশ রশি টানা নৌকায় গ্রামবাসীদের আসা-যাওয়া

রশি টানা নৌকায় গ্রামবাসীদের আসা-যাওয়া

27

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেবপুর খালের দুই পারের বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে মাঝিবিহীন একাধিক নৌকা। আবার দু’প্রান্তেই রশি বাঁধা। প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীরা রশি টেনে আসা-যাওয়া করছে। এছাড়া পায়রাবন্দর ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের এ নৌকায় পারাপার হয়। উপজেলার চম্পাপুর ও ধানখালী এ দুই ইউনিয়নের একপারে পশ্চিম পাঁচজুনিয়া, অপারে পূর্ব দেবপুর গ্রাম। মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে দেবপুর খাল। এভাবে পারাপার হতে গিয়ে ছোট-খাটো দুর্ঘটনাও ঘটেছে বলে ওই খাল পারের বাসীন্দারা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই খালের অবস্থান উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। পশ্চিম পারে পাঁচজুনিয়া আর পূর্বপারে দেবপুর গ্রাম। সেখানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। তাই ওইসব গ্রামের ছেলে-মেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে হয় রশি টানা নৌকায়। তবে এ নৌকায় নির্ধারিত কোন মাঝি নেই। রশি টেনে পারাপার হতে হয়। এতে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেশি। এর ফলে অনেক অভিভাবক তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।
মাঝিবিহীন নৌকায় পারা পার হওয়া একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের প্রতিদিন নৌকর রশি টেনে পার হয়ে আমরা স্কুলে হয়। এতে করে অনেক সময় বই খাতাও ভিজে যায়।
ধানখালী সোনাগাজী হায়াতুন্নেছা অশ্রাব একডেমি মাধমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুখ রঞ্জন তালুকদার বলেন, নৌকায় পারাপারে ঝুঁকি থাকায় অনেকে সময় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে না। কিন্তু খালটিতে একটি সেতু থাকলে রশি টানা নৌকায় পারাপার হতে হতো না।
চম্পাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার বলেন, পাঁচজুনিয়া ও দেবপুর দুই গ্রামের মাঝখানে এই খাল। এখানে একটি ব্রিজ থাকলে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ গ্রামবাসীদের চলাচলে অনেক সুবিধা হতো।