Home জাতীয় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে

স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে

28

জাতীয় পর্যায়ে দু’দিনের অধিকার বিষয়ক মতবিনিময় সভা শুরু

স্টাফ রিপোটার: স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, তরুণদের প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। কাঙ্খিত সুফল পেতে এখনই সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ে তরুণ সমাজের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক মতবিনিময় সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তারা। নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মাদ সিরাজুর রাহমান ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শামসুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. এ এন এম মোস্তফা কামাল মজুমদার ও প্রাগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. মনজুর হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক মাওলানা আনিসুজ্জামান সিকদার প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে অধিকার এখানে, এখনই (আরএইচআরএন২) কোয়ালিশনের পক্ষে চলমান প্রকল্পের অর্জনসমূহ তুলে ধরেন নাগরিক উদ্যোগের প্রকল্প সমন্বয়কারী জয়িতা হোসেন।
অনুষ্ঠানে উপ-সচিব মোহাম্মাদ সিরাজুর রাহমান ভূঁইয়া বলেন, সমাজ, বিশেষ করে পিতা-মাতা এবং সমাজের নেতাদের এসআরএইচআর বিষয়ে সংবেদনশীল করার ক্ষেত্রে দেশের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। তারপরও মাতা-পিতা ও সমাজের মানুষজন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ট্যাবুর কারণে এখনো প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত তথ্য গ্রহণ এবং তা আলোচনার জন্যে প্রস্তুত নন। এক্ষেত্রে নানান প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। তাই সাফল্য অর্জনে সর্বস্তরের সংগঠনের প্রায়োগিক যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
সরকারি, বেসরকারি সংস্থা এবং বিদ্যালয়ের মধ্যে সমন্বয় স্থাপনের মাধ্যমে তথ্য, পরামর্শ এবং সেবা সংক্রান্ত সাহায্য আদান- প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শামসুল হক। তিনি বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কারণ নতুন প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে করলে পারলে বাল্যবিয়ে কমবে। বাল্যবিয়ে কমলে অপ্রাপ্ত বয়সে গর্ভধারণও কমবে। এতে মাতৃ মৃত্যু হার কমবে।
ড. এ এন এম মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেন, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা জরুরী। অন্যত্থায় কিশোর-কিশোরীরা নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি সহিংসতার শিকার হতে পারে। যা তার জীবনকে বিপদগ্রস্থ করে তুলতে পারে। অথচ অধিকাংশই বিয়ের পর পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। যৌবনে পদার্পনের সঙ্গে সঙ্গেই পরিবার পরিকল্পণা গ্রহণ করতে হবে।
ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক মাওলানা আনিসুজ্জামান সিকদার বলেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা মানব জীবনের জন্য খুবই জরুরি। যে কারণে চৌদ্দশো বছর আগে মহানবী বিষয়টি নিয়ে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তাই এ বিষয়ে সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরী। মূল্যবোধ জাগ্রত করা দরকার। না হলে তরুণদের বিপদগামী হওয়ার আশংকা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাল্যবিবাহ, বয়ঃসন্ধিকালীন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, লৈঙ্গিক নিপীড়ন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার ও প্রতিবন্ধকতা,এবং লিঙ্গসমতার মতো বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন নাগরিক উদ্যোগের নবদূত চেঞ্জ মেকার দলের তরুণেরা। এছাড়া তরুণ সমাজের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়কে সামনে রেখে নাগরিক উদ্যোগের নবদূত সদস্যগণ বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরতে ‘এসো কথা বলি’ নামে একটা পথ নাটক পরিবেশন করেন।