Home জাতীয় সুন্দরবন: আম্পানে ম্যানগ্রোভের ৮৩ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত

সুন্দরবন: আম্পানে ম্যানগ্রোভের ৮৩ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত

39

ডেস্ক রিপোর্ট: গত বছরের ২১ মে সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়ে সুপার সাইক্লোন আম্পান। ওই ময় দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল। যদিও বরাবরের মতো সেবারও সুন্দরবনের কারণে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলটিতে এসে গতি হারায় সাইক্লোনের মূল আঘাত। বনের বাস্তুসংস্থানে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতজনিত ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বন অধিদপ্তর থেকে এখনো সুস্পষ্ট কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল স্যাটেলাইট ডাটা অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (এনইএসডিআইএস) স্যাটেলাইটে সংগৃহীত তথ্য বলছে, আম্পানে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ এলাকার ৮৩ শতাংশই নানা মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এনইএসডিআইএসের তথ্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি ভারত, ব্রাজিল ও মালয়েশিয়ার কয়েকজন গবেষক সুন্দরবনের ওপর আম্পানের প্রভাব নিয়ে গবেষণা চালান। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এলসেভিয়ারের এস্টুয়ারিন, কোস্টাল অ্যান্ড সেলফ সায়েন্স জার্নালে তাদের এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘জিও-ইকোলজিক্যাল ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট অব সিভিয়ার সাইক্লোন স্টর্ম আম্পান অন সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ইউজিং জিওস্পেশাল টেকনোলজি’। এতে আম্পানের ফলে কোন কোন অঞ্চলে কী মাত্রায় এবং কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, সে সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ভারত ও বাংলাদেশের সুন্দরবনের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল (ভারতের কাকদ্বীপ ও পাথরপ্রতিমা অঞ্চল) কেন্দ্রীয় অঞ্চল (বাংলাদেশের শরণখোলা রেঞ্জ) এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (বাংলাদেশের বরিশাল রেঞ্জ) ম্যানগ্রোভ বৃক্ষরাজি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে প্রায় ৮৭ শতাংশ ও বাংলাদেশ অংশে প্রায় ৮৩ শতাংশ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল নানা মাত্রায় ক্ষতির শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে জলোচ্ছ্বাসজনিত ভূমিক্ষয়ের শিকার হয়েছে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৬৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, খুলনা রেঞ্জে ৪৯ দশমিক ১৫ শতাংশ, শরণখোলা রেঞ্জে ৫২ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও বরিশালের ৫৬ দশমিক ১৯ শতাংশ এলাকা।

গবেষকরা ভারত ও বাংলাদেশের উপকূল রেখায় আম্পানের আঘাতে ৬ হাজার ৭৫৪টি স্থানে ভাঙনের চিহ্ন পেয়েছেন। এছাড়া ঘন ও মাঝারি ঘন ম্যানগ্রোভ গাছের আচ্ছাদন এলাকা ৭৭ শতাংশ থেকে ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হয়েছে। ফলে কৃষিজমি এবং মাছ চাষের পুকুর ও ঘেরগুলো প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ম্যানগ্রোভের লবণ সংবেদনশীল প্রজাতিগুলো বিশেষ করে সুন্দরী গাছ মারাত্মক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরের ক্ষতি নিরূপণের জন্য গবেষণায় দুটি সূচক ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলো হলো নরমালাইজড ডিফারেন্স ভেজিটেশন ইনডেক্স (এনডিভিআই) এবং এনহ্যান্সড ভেজিটেশন ইনডেক্স (ইভিআই)। এ দুই সূচক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, আম্পানের কারণে ম্যানগ্রোভ বনের প্রায় সব অংশেই অবনতি ও ভাঙন দেখা দিয়েছে।

সাম্প্রতিক এমন আরো তিনটি গবেষণায় প্রায় একই তথ্য উঠে এসেছে। এগুলোর প্রতিটির মূল ভাষ্য হলো সিডরের পর সুন্দরবনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে আম্পান। যদিও এবারের ক্ষয়ক্ষতি সিডরের মতো ব্যাপক মাত্রায় দৃশ্যমান হয়নি। আম্পানে মূলত সুন্দরবনের অভ্যন্তরীণ ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ম্যানগ্রোভ বৃক্ষরাজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরী গাছ। লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের পরেও বনের প্রচুর সুন্দরী গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরার পশ্চিম সুন্দরবন তথা বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জে এখন গাছটিকে দেখা যাচ্ছে খুবই কম। যতটুকু দেখা মিলছে তাও শুধু গভীর অরণ্যে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বনের এ অংশ সুন্দরী গাছশূন্য হয়ে পড়তে পারে।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সুন্দরবন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও মত্স্যজীবী সমিতির সভাপতি আইয়ুব হোসেন বলেন, আম্পানের কারণে সুন্দরবনে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমাদের উপকূলীয় এলাকায় আগের তুলনায় লবণাক্ততা বেড়ে গেছে। সুুন্দরবন বেষ্টনী নদীগুলোর পানিতে অস্বাভাবিক লবণ থাকায় সুুন্দরী গাছগুলো আগা মরা রোগ হয়ে মারা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ কোনোভাবে বেঁচে থাকলেও শ্বাসমূলীয় বন বাঁচানো কঠিন হবে।

একই কথা বলছেন সাতক্ষীরার বুুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. আবুু হাসানও। তিনি বলেন, এ রেঞ্জের অধীন এলাকায় সুন্দরী গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। গভীর অরণ্যে যৎসামান্য কিছু থাকলেও থাকতে পারে। তবে সেটির দাপ্তরিক কোনো পরিসংখ্যান বা তথ্য নেই। গত কয়েক দশকে যে হারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে তাতে অতিমাত্রায় লবণ পানি প্রবেশ করেছে। সিডর আইলার পর ফণী ও আম্পানের কারণে অতিমাত্রায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সুন্দরবনের স্বাদুু পানির গাছ সুুুন্দরী টিকে থাকতে পারছে না। ক্রমান্বয়ে বুুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জ থেকে সুুুন্দরী গাছ হারিয়ে যাচ্ছে। একসময় সুন্দরবনের রায়মঙ্গল ও কালিঞ্চি নদী দিয়ে মিঠা পানি প্রবেশ করত। কিন্তু গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে মিঠা পানি আসছে না। ফলে এ অঞ্চলে আর সুন্দরী গাছ জন্মাতে পারছে না।

সুন্দরবনের মতো ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের বৃদ্ধি বা সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ার প্রাকৃতিক নিয়মটিকে বলা হয় সাক্সেশন। এক্ষেত্রে নতুন চর বা জমিতে শুরুতেই জন্ম নেয় কেওড়া জাতীয় বৃক্ষ। এরপর সেখানে জন্মায় গেওয়া, বাইন। প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপে জন্ম নেয় সুন্দরী। কিন্তু বনের অনেক স্থানেই সে চক্র ভেঙে গিয়েছে। যেসব অঞ্চলে জোয়ারের পানি উঠছে না, সেখানে এখন কড়ই ও মেহগনি গাছ লাগানো হচ্ছে। জন্মাচ্ছে না সুন্দরী। অন্যদিকে লবণাক্ততার কারণে টিকতে পারছে না সুন্দরী গাছ।

বন বিভাগের তথ্য বলছে, বন বিভাগের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ছয়টি অঞ্চলে বিশেষ করে কাটাখালী, ধানসাগর, গুলিশাখালী, নাঙলী, আমুরবুনিয়া ও দাসের ভারানী স্টেশন এলাকার ফরেস্ট ফ্লোর উঁচু হয়ে গেছে। এখানে জোয়ারের পানি উঠতে পারছে না। পলি জমে ভরাট হচ্ছে খাল ও নদী। ফলে ভরা অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভেসে গেলেও এসব অঞ্চলে সেটি হচ্ছে না। এতে স্বভাব অনুযায়ী ম্যানগ্রোভ গাছ শ্বাস ছাড়তে পারছে না। আবার বংশ বিস্তার করতে না পারার মাধ্যমে বিলীন হচ্ছে সুন্দরী গাছ। সেসব স্থানে পাতা, লতাগুল্ম জন্মাচ্ছে। সুন্দরবনের প্রথাগত গাছের পরিবর্তে এখন কড়ই ও মেহগনি গাছ লাগানো হচ্ছে। এতে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে বনের বাস্তুসংস্থান।

এ বিষয়ে বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের তাত্ক্ষণিক দৃশ্যমান ক্ষতি অনেক কম মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি তার চেয়ে অনেক বেশি। সেটির প্রতিফলন নানান গবেষণায় উঠে এসেছে। লবণাক্ততার ওপর ভিত্তি করেই প্রকৃতি তার স্বভাব পরিবর্তন করছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে সাতক্ষীরা জোন সুন্দরীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে খুলনা রেঞ্জ মাঝারি (মডারেট) লবণাক্ততার কারণে মোট বনায়নে সুন্দরী গাছ অর্ধেকের কম। তবে বাগেরহাট জোন কম লবণাক্ততার কারণে সুন্দরীর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। কেননা এখানে স্বাদু পানির প্রবাহ রয়েছে। কিন্তু সাতক্ষীরায় সেটি একেবারেই কমে গেছে। সুন্দরবনের বেশকিছু অঞ্চলে জোয়ারের পানি প্রবেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আমরা লক্ষ করেছি। ফরেস্ট ফ্লোর বেশ উঁচু হয়ে যাওয়ার কারণেই জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে পারছে না। শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবেশ করতে পারছে না বিধায় এ অঞ্চলে সুন্দরবন-বহির্ভূত গাছপালাও স্বাভাবিকভাবে জন্মাচ্ছে। সুন্দরবনের প্রকৃতিগত এ পরিবর্তন বনের পাশাপাশি বাস্তুসংস্থানে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে। এজন্য আমরা বন ব্যবস্থাপনায় অ্যাডাপটিভ ম্যানেজমেন্টে গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে বন্যপ্রাণী টিকিয়ে রাখা ও মানব ব্যবস্থাপনার জন্য সহব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিচ্ছি।

এর আগে ২০০৭ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিডরে সুন্দরবনের বহুমাত্রিক ক্ষতি হয়। ওই সময় তাত্ক্ষণিকভাবে বেশকিছু ক্ষতি দৃশ্যমান হয়। সেসব ক্ষতির প্রভাব এখনো রয়ে গেছে। সুন্দরবনের দক্ষিণে কটকা এলাকায় বনের মধ্যে বালির আস্তরণ পড়ে যায়। তীরবর্তী অনেক জায়গায় বালির আস্তরণ পড়লেও কটকায় তা কয়েক ফুট ছাড়ায়। শ্বাসমূল আচ্ছাদিত হয়ে মারা যায় এখানকার প্রচুর গাছ।

দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের ইকোসিস্টেম ও তার পরিবর্তন এবং আর্থসামাজিক নানান প্রভাব নিয়ে কাজ করছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী। তিনি বলেন, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সুন্দরী কমে যাওয়া ও নদীভাঙন একটি চক্রের মধ্যে রয়েছে। সুন্দরবনের পশ্চিমে অর্থাৎ নলিয়ান, খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবনের মাটি ও পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বাড়ছে। লবণাক্ততা বাড়লে মাটির বন্ডিং কমে যায়। তখন জোয়ারের সময় সহজেই ভাঙন ধরে। আবার উপকূলে বাঁধ দেয়ায় নদীভাঙনের মাটি অন্য কোথাও যেতে পারছে না। মাটি বা পলি নদীর ভেতরেই থাকছে। এতে নদীর তলদেশ উঁচু হচ্ছে এবং পানি ধারণক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে জোয়ারের সময় পানি সুন্দরবনের আরো বেশি ভেতরে প্রবেশ করছে। দীর্ঘ সময় সুন্দরবনের ভেতরে পানি থাকায় ভাঙন আরো বাড়ছে।

সুন্দরী গাছ হারিয়ে গেলে সুন্দরবনের গোটা বাস্তুসংস্থানই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে দেশের দুর্যোগপ্রবণ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিপদ আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এ বিষয়ে তাদের ভাষ্য হলো উপকূলীয় জনপদকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সুরক্ষা দিচ্ছে সুন্দরবন। এখানকার বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়বে। ১৮৭৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলে ৪৮টি তীব্র ঘূর্ণিঝড়, ৪৯টি ঘূর্ণিঝড় ও ২০টি হ্যারিকেন আঘাত হেনেছে। এছাড়া ছোট-বড় নানা ধরনের জলোচ্ছ্বাসও ঘটছে। সব মিলিয়ে তিন বছর পর পরই দেশে এ ধরনের জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে। সুন্দরবনের কারণে ৪ থেকে ১৬ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উচ্চতা হারাচ্ছে এসব জলোচ্ছ্বাস। আবার জলোচ্ছ্বাসের পানিপ্রবাহ গতি হারাচ্ছে ২৯ থেকে ৯২ শতাংশ পর্যন্ত। এভাবে ঢেউয়ের গতিবেগকে কমিয়ে দিয়ে জলোচ্ছ্বাসের ভয়াবহতা থেকে মানুষ ও পরিবেশকে রক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনছে সুন্দরবন।-আমাদের সময়.কম