Home সারাদেশ সুনামগঞ্জে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

সুনামগঞ্জে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

94

রাজু ভুইয়া, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে মানব পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পরে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়ায় এক যুবকের মৃত্যু ঘটনার সাথে জড়িত দুইজন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা ১১ টায় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) আবু সাঈদ দুই আসামী গ্রেফতারসহ মানব পাচার মামলায় জড়িতদের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন- জগন্নাথপুর উপজেলার একওয়ান নামের এক যুবককে লিবিয়া হয়ে ইতালী পাচারের সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় দালাল আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী আছমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য আসামীরা প্রবাসে থাকায় তাদেরকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারভেজ আলম, ডিআইও-১ আজিজুর রহমানসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। পুলিশ সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীধরপাশা গ্রামের মৃত সমসর আলীর ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম (৪১) বাদি হয়ে মানবপাচার আইনে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় চার জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা দায়ের করেন। আসামী আবুল মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ তার লিবিয়া প্রবাসী পুত্র আসামী আলী হোসেনের মাধ্যমে বাদীর পুত্র একওয়ান ইসলামকে ইতালী পাঠানোর জন্য প্রলুব্ধ করে। আসামী আবুল মিয়ার তার ছেলেকে ইতালী পাঠানোর জন্য ঊনিশ লক্ষ টাকার চুক্তিতে ভিজিট ভিসার মাধ্যমে বাদীর ছেলে ভিকটিম একওয়ান ইসলামকে দুবাইয়ে প্রেরণ করে।

টাকা পেয়ে বাদীর পুত্র একওয়ান ইসলামকে ইতালী না পাঠিয়ে লিবিয়ায় অবস্থানরত তার ছেলে আসামী আলী হোসেন ও তার আত্মীয় আসামী সালেহ আহমদ এর নিকট পাঠিয়ে দেয়। বাদী তার ছেলেকে ইতালিতে পাঠাতে না পারলে দেশে ফেরত আনার জন্য আসামী আবুল মিয়াকে জানায়। আসামীরা হঠাৎ বাদীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে বাদীর সন্দেহ হয় এবং তার ছেলেকে দেশে নিয়ে আসার জন্য আসামী আবুল মিয়াকে চাপ প্রয়োগ করে। আসামী আলী হোসেন ও আসামী সালেহ আহমদদ্বয় লিবিয়ায় অবস্থারত তাদের সহযোগী মাফিয়া দ্বারা বাদীর ছেলে একওয়ান ইসলামকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। জগন্নাথপুর থানা পুলিশের দুইটি টিম মামলা রুজুর পর হতে সুনামগঞ্জ জেলাসহ সিলেট জেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অভিযান পরিচালনা করে ০৯/১০/২০২২ খ্রি. হবিগঞ্জ জেলা সদরের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মোহনপুর নামক এলাকা হতে মামলার এজাহারনামীয় আসামী আবুল মিয়া (৫০) ও তার স্ত্রী আছমা বেগম (৪০) গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি ভ্যানিটি ব্যাগ এবং ব্যাগের ভিতর রাখা ৪,১৫,৫০০/- (চার লক্ষ পনের হাজার পাঁচশত) টাকা, ৭টি মোবাইলফোন ১টি এটিএম কার্ড ২টি ব্যাংক চেকসহ ১টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।