Home সারাদেশ গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাৎকারী খোকনের গ্রেফতারের দাবি

গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাৎকারী খোকনের গ্রেফতারের দাবি

26

মো: ইকবাল হোসেন, (কয়রা), খুলনা: অল্প সঞ্চয়ে অধিক মুনাফার প্রলোভনে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সারা জীবনের সঞ্চিত লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন খোকন মন্ডল। খুলনার কয়রা সদর ইউনিয়নের মদিনাবাদ এলাকার মৃত গুনধর মন্ডলের পুত্র খোকন মন্ডল হাজারো গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা লুটপাট করে লাপাত্তা। সোমবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় মানববন্ধন চলাকালে এসব অভিযোগ করেন বিক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্তরা।

কয়রা উপজেলা সদরের তিন রাস্তার মোড়ে তীব্র রোদ্রের মধ্যে মানববন্ধনে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে অবিলম্বে আত্মসাৎকারী খোকন মন্ডলসহ তার সহযোগীতে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সঞ্চিত অর্থ ফেরতের দাবিতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, খোকন ও তার স্বজনেরা অংকুর শ্রমজীবী সমবায় সমিতি, সোস্যাল কনসার্ন কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড, দীপ্ত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, হোসান্না সোস্যাল কনসার্ন, সহানুভূতি শ্রমজীবী সমবায় সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের নামে ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ আমানত সংগ্রহ করে। সাধারণ গ্রাহকের সঞ্চয়ের বিপরীতে মোটা অংকের মুনাফার লোভ দেখিয়ে তারা দীর্ঘদিন এলাকার নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।

প্রথম দিকে আমানতের বিপরীতে প্রতি মাসে মুনাফা দিয়ে সামান্য কিছু মানুষকে ঋণ দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করে। পরে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক খোকন মন্ডল। তারা মানুষের কাছ থেকে স্বাক্ষরিত চেক, স্ট্যাম্প নিয়ে নেয় কৌশলে। ভুক্তভোগীরা চেক ও স্ট্যাম্প আমানতের অর্থ ফেরত পেতে অভিযুক্ত খোকন মন্ডল ও তার নিয়ন্ত্রণাধীন ওই সব এনজিও কর্মকর্তাদের কাছে অনুনয়-বিনয় করলে চাঁদাবাজি, মাদক দ্রব্যসহ চেক-স্ট্যাম্প দিয়ে তাদের হয়রানিমূলক নানা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের আমানতের অর্থ ফেরতসহ প্রতারক খোকনের ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ার দেন অসহায় ভুক্তভোগীরা।

মানবন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাগালি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজুল হক, ডা: পতিত পবন, আহসান, বাবু, কাজল, মফিজুল, সিরাজুল, ছালাম, রাসেল ও মুকুল প্রমুখ। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে ভুক্তভোগী পরিবার ছাড়াও দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।