Home শোক ও স্মরণ সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

25

স্টাফ রিপোটার: মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আবুল হোসেনের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এই আয়োজন করা হয়। এতে সদ্য প্রয়াত আবুল হোসেনের জীবনী ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার তুলে ধরেন তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা।
সৈয়দ আবুল হোসেনের পরিবারের আয়োজনে এই স্মরণসভায় তার সহধর্মিণী খাজা নার্গিস হোসেন, দুই মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন, সৈয়দা ইফফাত হোসেন ছাড়াও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহবার হোসাইন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আখতার হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী বক্তব্যে বাবার উন্নয়নমূলক কাজ সম্পর্কে তুলে ধরে বড় মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা বাবার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখব। এছাড়া কালকিনি থানার ডাসার উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সবসময় বাবার মতো করেই চালিয়ে নিয়ে যাব।’
এদিন আবুল হোসেনের স্মৃতিচারণ করে তার শিক্ষক ও অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা ছিল, আমার ছাত্র ও বন্ধুদের হাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করব। কিন্তু তা আর হলো না।’ তিনি বলেন, ‘আবুল হোসেনের অস্বাভাবিক সাংগঠনিক ক্ষমতা ও দক্ষতা ছিল। তাকে দেখে আমি প্রায় সময় অভিভূত হতাম। আজকে ভ্যাট আমাদের রাষ্ট্রে বড় অংকের অর্থ দিয়ে থাকে। এ দেশে আবুল হোসেন প্রথম দেশে জাতীয় একটি সেমিনার আয়োজন করেন। আমি সেদিন উপস্থিত ছিলাম। তার মতো হাসিখুশি মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। মহান আল্লাহ্ তার বেহেশত নসিব করুক।’
এর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দ আবুল হোসেন।
তিনি ১৯৫১ সালের ১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ আবুল হোসেন আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ধারাবাহিকভাবে সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত বাংলাদেশের যোগাযোগমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।