Home রাজনীতি সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে : নুর

সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে : নুর

28

স্টাফ রিপোটার: সরকারের পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ১ দফা দাবিতে বিরোধী দলসমূহের চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘন্টার অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণ অধিকার পরিষদ।

রবিবার দুপুরে মিছিলটি বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ এর সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। আমাদের শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া দল আওয়ামী লীগ আজকে গণতন্ত্র, সম্প্রীতর ভাষা ভুলে গিয়ে স্বৈরাচার, সন্ত্রাস- সহিংসতার ভাষায় কথা বলছে। প্রধানমন্ত্রী হাত ভেঙে দেয়া, পুড়িয়ে দেয়ার কথা বলেন। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইনান পিটার হাসকে জবাই করার হুমকি দেন। অনতিবিলম্ব রাজবন্দীদের মুক্তি দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান তিনি।

গণঅধিকার পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, গতকাল উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নৌকায় ভোট চেয়েছেন। সরকারি কাজ করতে গিয়ে দলীয় নেতা হিসেবে ভোট চাওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যিনি নৌকায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন, তার অধীনে কি সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে? দলীয় সরকারের অধীনে কোন বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারেনা। সুতরাং আগামীতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

তিনি বলেন, গতকাল ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদাকে গ্রেফতার করেছে। সরকার বিএনপিকে দমন-পীড়ন করে যখন আন্দোলন থামাতে পারছেনা, তখন আমাদের মত ছোট- মাঝারি দলের নেতৃত্বকেও আটক করছে। হামলা-মামলা গ্রেফতার করে এই আন্দোলন থামানো যাবেনা। আজকে অনেক বড় বড় নেতারা গ্রেফতার আতঙ্কে রাজপথে নামতে পারছেনা। তাই বলে কি আন্দোলন থেমে গেছে। আজকে গ্রামগঞ্জ, অলিতে-গলিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলন কোন দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই আন্দোলনে প্রত্যেকটা কর্মী আজকে নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ। সুতরাং গ্রেফতার করে এই আন্দোলন থামানো যাবে না। বিরোধীদলসমূহের ১২০০০ নেতাকর্মী গত ২ সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার মাঠ শূন্য করে একতরফা নির্বাচন করতে মরিয়া। নির্বাচন কমিশন সকল দলের জন্য নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত না করে তামাশার তফশিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনারা পদত্যাগ করুন, আপনারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আরেকটি প্রহসনের ১৪ ও ১৮ মার্কা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করলে যুগপৎ আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলগুলো প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করতে বাধ্য হবে।

সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম বলেন, জেল-জুলুম দিয়ে জনগণের আন্দোলন কখনও স্তব্ধ করা যাবে না। এই অত্যাচারী সরকার সারাদেশকে কারাগারে পরিনত করেছে। আজকে এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত এবং এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মাহফুজুর রহমান খান, রবিউল হাসান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হোসেন,মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক আব্দুুর রহিম, অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন,সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান,সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব সহ সভাপতি সাব্বির হোসেন,নাহিদ উদ্দিন তারেক,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।