Home সারাদেশ সমুদ্র উপকূলীয় কলাপাড়ায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা

সমুদ্র উপকূলীয় কলাপাড়ায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা

18

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। সমুদ্র উপক‚লীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রতিনিয়ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে বেড়েই চলছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশার ঘনত্বে বেলা বাড়লেও দেখা মিলছেনা সূর্যের। শুক্রবার সকাল নয়টায় জেলায় সর্বন্মি ১২.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস। এতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষ। অনেকেই খড় কুটা জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদিকে প্রচন্ত ঠান্ডায় বেলা বাড়লেও মিলছেনা শহর ও গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলো। হাসপাতালেও বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা।
জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষের। তবে ডিসেম্বর মাসজুড়ে শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পৌর শহরের অটোরিকশাচালক সোবাহান বলেন, গত দুই দিন ধরে শীত পড়ছে। সকালে এবং রাতে রিকশা চালালেই শীতে কাঁপনি ওঠে। তারপরও পেটের টানে চালাতে হয়। কিন্তু সকালে ও রাতে যাত্রী অনেকটা কম থাকে। ভ্যানচালক বাবুল বলেন, যেমন কুয়াশা তেমনি শীত পড়ছে। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। কাজ না করলে সংসার চলবে কেমনে। বৃদ্ধা ফজিলাতুন নেছার ভাষ্য, ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ঢুকে, ২-৩ ডা কাঁথা-কম্বল গায় দিয়েও শীত মানানো যাচ্ছে না।
এদিকে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক বারেক মুন্সি বলেন, তীব্র শীতে হাত-পা জমে যাওয়ার মতো অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে মাঠে থাকাটাও কষ্টকর।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী সংবাদিকদের জানান, ঘন কুয়াশা এবং শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। এই মাসজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে শীত।