স্টাফ রিপোটার: দুর্নীতি, লুটপাট এবং দুঃশাসনের মাধ্যমে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকার। সরকারের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে বিএনপি’র নেতৃত্বে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে, বলেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। তিনি বলেন, জন¯্রােত বন্ধ করতে সরকার নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। সমাবেশ বানচাল করতে গিয়ে এই ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগণকেই প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। মজনু বলেন, পতনকালে সরকারের কোন অপকৌশলই কাজে লাগবে না, তাদের বিদায় নিতেই হবে। তিনি আরও বলেন, এই সরকারের পতনের মাধ্যমেই দেশে একটি নতুন যুগের সূচনা হবে। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।
তিনি আজ ৩১ অক্টোবর সোমবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মুগদা থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের যৌথ কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন। দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২৪টি থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমূহকে নিয়ে এই যৌথ কর্মীসভা করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ মুগদা থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মীসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-যুবদল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র জেষ্ঠ্য সদস্য জনতার মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রশীদ হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর শামসুল হুদা, বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মৃধা, মোশারফ হোসেন খোকন, লিটন মাহমুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা শেখ মোহাম্মদ আলী চায়না, কাউন্সিলর শামসুল হুদা কাজল, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, সদস্য সচিব খন্দকার এনামুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি শফিউদ্দিন সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, মহিলা দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক রুমা আক্তার, যুগ্ম আহবায়ক নার্গিস মিতু, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পূর্ব এর সদস্য সচিব আল আমিন সহ থানা এবং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কর্মীসভায় ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, সারা ঢাকা শহরে যখন ডেঙ্গু মশার উপদ্রবে মানুষ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে, তখন আমাদের দক্ষিণের মেয়র তার ভাইকে দিয়ে বরিশালে বিএনপি’র সমাবেশ বন্ধের হুমকি দিচ্ছেন। সরকারের মন্ত্রী-নেতাদের দাম্ভিক বক্তব্যে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাদের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না, আগের মতোই ভোট ডাকাতি করে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়।
