Home জাতীয় সড়কে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড, বখরা খায় ব্যবসায়ী নেতা

সড়কে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড, বখরা খায় ব্যবসায়ী নেতা

35

ডেস্ক রিপোর্ট: সড়কে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি ট্রাক। কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ। পুরো সড়কের অর্ধেকেই ট্রাকের দখলে। অবৈধভাবে পার্ক করা সড়ক যেন অঘোষিত ‘ট্র্যাকস্টান্ড’। এটি রাজধানীর বাংলামোটর-শাহবাগ লিংক পরাডের (ময়মনসিংহ রোড) চিত্র। যত্রতত্র এমন পার্কিংয়ের কারণে এই এলাকায় যানজট চলে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফুটপাতও দখল করে রেখেছে টাইলস ব্যবসায়ীরা। আর এ ট্রাকের মালিক বেশির ভাগই ব্যবসায়ীরা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এসব গাড়িতে দিনের বেলা মালামাল রাস্তায় উঠানো নামানোর কারণে যানজট প্রতিদিনই বাড়ছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ। সড়কের ওপর এমন স্ট্যান্ড সরানোর বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন বলে জানান এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বলেন, এ রাস্তায় অবৈধ পার্কিং রোধে তিনি কয়েকবার বিলবোর্ড লাগিয়ে ট্রাক মালিকদের অনুরোধ করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক আশ্রয়ে তারা রাস্তাটি দখল করে রেখেছে। এ ব্যাপারে তিনি ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশনে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। তার প্রত্যাশা তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তার মতে, এখানে ট্রাক রাখতে নিষেধ করলে ড্রাইভারসহ সংশ্লিষ্টরা বিক্ষোভ করে। রাজনৈতিক প্রশ্রয় থাকায় এটি উচ্ছেদে সিটি করপোরেশনের সহায়তা দরকার।

স্নানীয়রা জানান, ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও টাইলস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের যোগসাজশে সড়কের ওপর এ ট্রাক রাখা হয়। স্থানীয় নেতা ও ব্যবসায়ী হওয়ায় তিনি ট্রাক স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ছাড়া এ স্ট্যান্ড থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদাও তোলা হয়। ট্রাকড্রাইভারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাহ আলম নামে একজন এখান থেকে স্ট্যান্ড ভাড়া বাবদ টাকা নেন। ট্রাকড্রাইভাররা জানান, তারা মালিকদের সিদ্ধান্তে এখানে ট্রাক রাখেন।

ট্রাক রাখার বিষয়ে ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও টাইলস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ‘বহু বছর ধরে দেখছি এখানে ট্রাক রাখা হচ্ছে। তবে সড়কে ট্রাক রাখার সঙ্গে আমি জড়িত না। আমি এখানকার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা। মাঝেমাঝে ফুটপাত নষ্ট হয়ে গেলে আমরা নিজ উদ্যোগে ঠিক করে দিচ্ছি। খোঁজখবর নিয়ে দেখেন কারা জড়িত।’ কাঁটাবন থেকে রিকশা নিয়ে কাওরানবাজার সার্ক ফোয়ারায় আসেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শামীম হোসেন। তিনি বলেন, একদিকে ছোট রাস্তা, অন্যদিকে রাস্তার অর্ধেকের বেশিজুড়ে গাড়ি পার্কিং। রিকশা কতক্ষণ পরে পরে যানজটে আটকে থাকে। আশপাশের বিভিন্ন দোকানের মালামাল উঠানো নামানো করতে গিয়ে ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানগুলোও নিজেদের মতো পার্ক করে রাখে।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ১-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন বলেন, এর আগেও এখানে অভিযান চালানো হয়েছে। আবারও জায়গাটি দখল হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কাউন্সিলর জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই আবার উচ্ছেদ পরিচালনা করা হবে।-ইত্তেফাক