Home জাতীয় শ্রম ভবনে শ্রমিকদের লাগাতার অবস্থানের নবম দিন

শ্রম ভবনে শ্রমিকদের লাগাতার অবস্থানের নবম দিন

34

স্টাফ রিপোটার: শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও আইনগত পাওনা পরিশোধে দুই বার চুক্তি ভঙ্গের প্রতিবাদে ঢাকার শ্রম ভবনে লাগাতার অবস্থানের নবম দিনে আজ ৩ নভেম্বর বুধবার, বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্দোলনরত গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট কারখানার শ্রমিকরা সংবাদ সম্মেলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষনা করে।
আগামীকাল ৪ নভেম্বর বেলা ১১টায় শ্রম ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। আন্দোলরত শ্রমিকরা গত ২৬ অক্টোবর থেকে শ্রম ভবনে পাওনার দাবিতে দিন রাত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পূর্ণাঙ্গ পাওনা পরিষোধ না করা পর্যন্ত দিন-রাত অবস্থান চলবে।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কারখানার শ্রমিক আফরিন। এসময় কারখানার শ্রমিক নেতৃবৃন্দের পাশপাশি গার্মেন্ট শিল্পের জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্টাইলক্রাফট লিমিটেড এবং ইয়ং ওয়ান লিমিটেড কারখানা দুটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে নানাভাবে বেতন ভাতা এবং ঈদ বোনাস না দিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করছে। যার ফলে উক্ত কারখানার ৪২৪৩ জন শ্রমিক-কর্মচারী আজ এক চূড়ান্ত আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে। কারখানার শ্রমিকদের ছয় মাসের এবং কর্মচারীদের নয় মাসের বেতন বকেয়া। ছয় মাস বেতন না পেয়ে স্বল্প বেতনের দরিদ্র জীবনযাপনকারী শ্রমিকদের কিভাবে দিন অতিবাহিত হচ্ছে সেটি অবর্ণনীয়।
বক্তব্যে আরো বলা হয়, গত জুলাই মাস পর্যন্ত গাজীপুরে কারখানার সম্মুখে দীর্ঘদিন আন্দোলন পরিচালনা করা হয়েছে। সেই আন্দোলনের ফলে কখনো লিখিত ও মৌখিকভাবে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মেট্রোপলিটন পুলিশ , শিল্প পুলিশ সহ চুক্তি হয়। মালিক সেই চুক্তি প্রতিবার ভঙ্গ করে। অবশেষে নিরুপায় হয়ে শ্রমিকরা গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে বিজিএমইএর প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে। সে ঘেরাও এর ফলে গত ৭ আগস্ট শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিব, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজিএমইএর সভাপতি এবং শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুসারে গত ২৫ শে আগস্ট বকেয়া বেতন এবং একটি ঈদ বোনাস পরিশোধ করে কারখানা চালু করার কথা ছিল। এই সর্বোচ্চ পর্যায়ের চুক্তির বিষয়েও মালিক কোন তোয়াক্কা করে নাই। চুক্তি অনুসারে ২৫ আগস্ট পাওনা পরিশোধ করা এবং কারখানা খুলে দেয়া হয় নাই।
আগামীকাল ৪টা নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এই শ্রম ভবনের সামনে থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। শ্রমিকদের লাগাতার অবস্থান আন্দোলন চলবে।