Home সারাদেশ ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুলের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুলের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

31

কয়রা ( খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক ইউপি সদস্যের জমি জবরদখল করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার উপজেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কয়রা সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মিজানুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলাম কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে কয়রা সদরের কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়সংলগ্ন আমার বাড়ির পাশের একটি জায়গা ভরাট করছেন। এতে বালুর সঙ্গে আসা নদীর লোনা পানিতে আশপাশের মিষ্টি পানির পুকুর তলিয়ে গেছে। পুকুরের মাছও মারা গেছে। নদীর লোনা পানিতে বসতবাড়ির গাছগাছালি মারা যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে গত বৃহস্পতিবার আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অবৈধভাবে লোনা পানিসহ বালু উত্তোলন বন্ধের লিখিত আবেদন করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলাম রবিবার সকাল থেকে আমার বসতবাড়ির সীমানা বেড়া ভেঙে ১০ শতক জমিতে বালু তুলে জবরদখলের চেষ্টা করছেন।থ

মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘সকালে চেয়ারম্যান তার পেটোয়া বাহিনী পাঠিয়ে আমার জমির সীমানা বেড়া ভেঙে দিয়েছেন। আমি তাদের হাতে-পায়ে ধরেও থামাতে পারিনি। চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি গালিগালাজ করেছেন। আমি বারবার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বললেও তিনি শুধু ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন। কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি।

এদিকে গতকাল বিকেলে ওই ইউপি সদস্যের জমি মাপজোখের আমিন আব্দুর রউফ কবিরাজকে মারপিট করে চেয়ারম্যানের মাদকাসক্ত পেটোয়া বাহিনী। তিনি সদর ইউনিয়নের ২নং কয়রা গ্রামের বাসিন্দা।

আমিন আব্দুর রউফ কবিরাজ বলেন, গতকাল বিকেলে আসরের নামাজের পরে চেয়ারম্যান বাহারুলের গুন্ডা বাহিনী আমাকে মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর কপোতাক্ষ কলেজের সামনে বিল্লালের চায়ের দোকানে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় হত্যার হুমকি দেয় তারা। আমার অপরাধ ইউপি সদস্যের জমির সঠিক মাপজোখ ও সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া।”

অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি যেসব অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। যেখানে বালু ভরাট করা হচ্ছে, সেটি আমার মালিকানাধীন জমি। এখানে কারও জমি জবরদখল করার প্রশ্নই আসে না।থ

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুর রহমান বলেন, ‘খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ডিউটি থাকায় সরেজমিনে যেতে পারিনি। নির্বাচনের ডিউটি শেষে সরেজমিনে গিয়ে লবণ পানির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।