Home জাতীয় দ্বিতীয় বার ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করলেন অধ্যাপিকা ড. হামিদা খানম

দ্বিতীয় বার ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করলেন অধ্যাপিকা ড. হামিদা খানম

85

ইমদাদুল হক তৈয়ব :আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে শিক্ষায় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. হামিদা খানম। সমপ্রতি দি জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ও ডিপিআইএফ-ইন্টারটেইটমেন্ট ইন্ডিয়া এবং দুবাই সংগঠন, গত ২৪ শে জানুয়ারী ভারতের নিউ দিল্লীর মিউনিসিপাল কাউন্সিল এমডিএসির অডিটোরিয়ামে ঢাবির প্রফেসর হামদিা খানমকে The George Washington University of peace Florida USA র্কতৃক Honorary Doctorate Award-2004-এ ভূষতি করা হয়।
সূত্র জানায়, তাঁর সামাজকি, সাংস্কৃতিক, জনসেবা, মানবাধিকারের উপর বিশেষ অবদান, শিক্ষা ও জ্ঞানের গভীরতা মূল্যায়নের পর ইউএসএ’র ফ্লোরিডার দি জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ পিস’র ফ্যাকাল্টি সিনেট নির্বাহী পরিষদ এবং হোনারস নোমনিশেন এডভাইজারী র্বোড র্কতৃক সুপারশি ক্রমে প্রফেসর ড. হামদিা খানমকে অনারারী ডক্টরেট ইন এডুকশেন-২০২৪ সম্মানসূচক মেডেল, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, গ্রাউন এন্ড ক্যাপ তুলে দেন। এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয় বার ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করলেন।
অধ্যাপিকা ড. হামিদা খানম বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ১৯৫০ সালে রংপুরে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আলহাজ্ব এস এম হাবিবউদ্দীন একজন বিজ্ঞ মৌলভী ছিলেন, যিনি তৎকালীন পুরো ভারত বর্ষে বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসায় ইসলামিক প্রশ্ন উত্তরের জন্য আমন্ত্রীত হতেন। মা ডা. হুমায়রা খানম। যিনি রংপুরের প্রথম গাইনোকোলজিস্ট ছিলেন।
ড. হামিদা খানম ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে বিএসসি, এবং ১৯৭৪ সালে এম এস সিতে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা (মৎস ও পরজীবীবিদ্যা) থেকে পদকপ্রাপ্ত এবং প্রথম পিএইচডি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গলের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ার জুলজিক্যাল সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস অফ জুলজির চতুর্থ অধিবেশনের এক অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ার জুলোজিকাল সোসাইটি পরজীবীবিদ্যায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য স্বর্ণপদক সম্মাননা প্রদান করেন। এছাড়াও বাবাসাহেব ভিমরাও আম্বেদকার বিশ্ববিদ্যালয়কর্তৃক আয়োজিত জীববৈচিত্র্য স্ট্যাটাস ব্যবহার এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের অবস্থার প্রভাবের উপর ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়ামের এক অনুষ্ঠানে উত্তরকান্দির হরিদ্বারে ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স (আই এই ই এস) তাকে স্বর্ণপদকে পুরস্কৃত করেন। ২০১৪ সালের ৩০-৩১ অক্টোবর হরিদ্বারের কোলাবোরেশন উইথ ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স তাকে স্বর্ণপদকের পুরস্কৃত করেন। ২০১৫ সালের ৩০-৩১ অক্টোবর জুলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া ফেলিসিটেশন মেডেল প্রদান করেন।

২০১৬ সালে ভারতের লক্ষৌ জুওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক “ফেলিসাইটেসন মেডেল”প্রাপ্ত হন ও ভারতের লক্ষৌ ১৯১৭ সালে “ডক্টর সালগেরি গোল্ড মেডেল“ পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৮ সালে শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজের অবদানের জন্য ভারতের কলকাতা কে.এম.টি.আই কর্তৃক “আন্তর্জাতিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৮” পান । ২০১৯ সালে ”আজীবন সম্মাননা, লাইফ টাইম এচিভমেন্ট” ,বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি কর্তৃক সম্মানে ভূষিত হন। ২০২০ সালে মানবতার দূত লাইফ টাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড – ২০২০ লাভ করেন । ২০২১ সালে শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য ”স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারক সম্মাননা” অর্জন করেন। ২০২২সালে ভারতের কইমবেটর কর্তৃক “আই.এন.এস. ইন্টারন্যাশনাল সাইন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২২” । ২০২৩ সালে বাংলাভিশন ফউন্ডেশন কর্তৃক “নজরুল পদক”, “রাইটস এক্সলিন্সে অ্যাওয়ার্ড-২০২৩” ও সামাজকি কাজ এবং শিক্ষার জন্য “মাদার তরেসো পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি তাঁর জীবনে দেশে-বিদেশে অসংখ্য পদক ও অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।সম্প্রতি আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে শিক্ষায় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. হামিদা খানম সর্ব মহলে প্রশংশিত হন।