ডেস্ক রিপোর্ট : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনআগামীকাল ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উপলক্ষ্যেনিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আদর্শ জাতি গঠনের মহান কারিগর শিক্ষকগণ সর্বদা জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আলোকবর্তিকা হিসেবে নিবেদিত প্রাণ। শিক্ষকগণ সমাজের বাতিঘর এবং সুনাগরিক গড়ার প্রধান প্রকৌশলী । শিক্ষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও পরম যত্নে জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ সাধন ও নৈতিকতা বিকাশের দায়িত্ব কৃতিত্বের সাথে পালন করে যাচ্ছেন। এ কৃতিত্ব শুধু শ্রেণিকক্ষেই নয়, বৈশ্বিক মঞ্চেও দৃশ্যমান। আমাদের শিক্ষকদের অর্জন এবং কৃতিত্ব তাঁদের নিরলস সাধনার যথার্থ প্রমাণ। শিক্ষার ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য সরকার শিক্ষকদের জন্য গবেষণা অনুদান এবং বৃত্তি-তহবিল গঠন করেছে। এ উদ্যোগ শিক্ষকদের মর্যাদা উন্নীত করার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অনেকাংশে নির্ভর করে টেকসই শিক্ষাসহ দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাকে ভিত্তি করেই দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। সরকার শিক্ষাক্ষেত্রের প্রসার ও জনগণকে শতভাগ শিক্ষার আওতায় আনার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া সরকার উচ্চ শিক্ষাসহ গবেষণা খাতকে সমৃদ্ধ করতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে আদর্শ ও সৃজনশীল নাগরিক গড়ার জন্য দক্ষ ও সৃষ্টিশীল শিক্ষকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই শিক্ষার সকল পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপটে এ বছরের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য ‘কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার জন্য শিক্ষক: শিক্ষক স্বল্পতা পূরণে বৈশ্বিক অপরিহার্যতা’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসে দেশের সকল শিক্ষকের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। দেশের উন্নয়নে নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। শিক্ষকরা জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২৩- এ এটাই সকলের প্রত্যাশা।

আমি ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”