Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস লড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন

লড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন

74

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি নড়াইলে ঘটে যাওয়া একাধিক সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছে সনাতন ধর্মাবল্মবী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দির সংলগ্ন গেটের সামনে সনাতন সংঘের উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক সনাতন ধর্মাবল্মবী শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মাাবনবন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ায় ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর পুঁড়িয়ে দেওয়া সহ একাধিক মন্দির ভাংচুর করা হয়েছে। একইসাথে টাকা পয়সা এবং মূল্যবান দ্রব্য-সামগ্রী লুটপাট করা হয়েছে। এদিকে সাধারন একটি বিষয় নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানো হয়েছে। যার কোনো সুষ্ঠু বিচার এখনো করা হয়নি। এতে করে বাংলাদেশে হিন্দুরা আত্ম-সংকটে আছে বলে জানান তারা।

মানববন্ধনে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজিই বিভাগের শিক্ষার্থী মানস তালুকদার বলেন, ১৯৭১সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পেছনে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো হিন্দু সম্প্রদায়ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। তাহলে আজ কেন এই স্বাধীন দেশে তাদেরকে পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নড়াইলে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদেরকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান করা হোক।

মানববন্ধনে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী কৃষ্ণমনি দাস বলেন, ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে যদি একটি সম্প্রদায় নিজেকে ছোট মনে করে তাহলে এটি দুঃখজনক। তবে যে ব্যক্তি ফেসবুকে ধর্মকে অবমাননা করে পোস্ট করেছে, তাকে আইনের আওতায় না এনে শতাধিক হিন্দু পরিবারের উপর এমন নৃশংস আক্রমণ কেন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একজনের দোষে শতাধিক জীবন কেন হুমকির সম্মুখীন হবে, এর একটা সুষ্ঠ সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

উল্লেখ, সম্প্রতি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টকে কেন্দ্র করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।