Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস বান্দরবানে গণগ্রেফতার বন্ধের দাবিতে রাজশাহী বিশ্বিবিদ্যালয়ে মানববন্ধন

বান্দরবানে গণগ্রেফতার বন্ধের দাবিতে রাজশাহী বিশ্বিবিদ্যালয়ে মানববন্ধন

15

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: বান্দরবানে যৌথ অভিযানের নামে গণগ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, আটককৃতদের সাধারণ মনুষকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

রবিবার (২৮ এপ্রিল ২০২৪) দুপুর ১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্যারিস রোডে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সমু চাকমার সভাপতিত্বে এবং সদস্য শামীন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হোসেন, নাগরিক গনমঞ্চের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক নাসিম সরকার, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদি মুন্না, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর রাবি শাখার সভাপতি শাকিল হোসেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মিশুক চাকমা।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে যৌথ বাহিনী অভিযানের নামে বম জাতিসত্তার নারী, শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী থেকে শুরু করে গণগ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। চালসহ নিত্যপ্রয়োজনী জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এক মানবিক বিপর্যয় ও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন অঞ্চলে এবং পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থান নিতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনা শাসনের জারি রাখার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ধরপাকড়, খুন-গুম, নারী নির্যাতন চলছে।

মানবন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে বান্দরবানে বম জাতিসত্তার নিরীহ জনগণের উপর নির্বিচারে গণগ্রেফতার বন্ধ, গ্রেফতারকৃত নিরপরাধ ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ব্যাংক ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি জানান। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাশাসন প্রত্যাহার করে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারে প্রতি আহ্বান জানান।

মানবন্ধনে ‘পাহাড় সমতলে জাতিসত্তাসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস পর্যটন নির্মাণ ও পাহাড়িদের উচ্ছেদ বন্ধ করা, পাহাড়ে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বন্ধ করা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সীমান্ত সড়কের নামে পাহাড়ি উচ্ছেদ বন্ধ করা ও জাতিগত নিপীড়ন বন্ধ করার দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।