Home রাজনীতি রাষ্ট্রপতিকে দেয়া নাম প্রকাশের অনুরোধ–ওয়ার্কার্স পার্টি

রাষ্ট্রপতিকে দেয়া নাম প্রকাশের অনুরোধ–ওয়ার্কার্স পার্টি

32

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে দেয়া নামের তালিকা প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেবে। আজ ১০ ফেব্রুয়ারি ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাবনা পলিটব্যুরোর সভায় আলোচনার গৃহীত হয়। ওয়ার্কার্স পার্টির সিদ্ধান্তে গণ-বিজ্ঞপ্তির স্থলে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্তকেও যথোচিত পদক্ষেপ বলে অভিহিত করে বলা হয়, ওয়ার্কার্স পার্টি অনুসন্ধান কমিটিকে তাদের তালিকা পাটিয়ে সহযোগিতা করবে। ওয়ার্কার্স পার্টির সিদ্ধান্তে বলা হয়, সংসদে এতদ্বসংক্রান্ত আইন বিবেচনার সময় পার্টির সংসদ সদস্যগণ অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে দেয়া নাম জনসাধারনের জন্য প্রকাশ অথবা বিকল্প হিসাবে ঐ নামসমূহ সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটিতে প্রেরণের সংশোধনী দিয়েছিল। সেই সংশোধনীসমূহ গৃহীত না হলেও আইন এ ধরনের নাম প্রকাশ বা সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বিবেচনার জন্য প্রেরণ কোনভাবেই বারিত করেনা। এবং এতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের বিষয়টি অধিকতর স্বচ্ছ হবে এবং তাতে জনমতেরও প্রতিফন ঘটবে। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর প্রস্তাবে বলা হয় যে, পার্টি আইনটিকে অসম্পূর্ণ বলে আখ্যায়িত করলেও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন প্রণয়নে সংবিধান নির্দেশিত কর্তৃক পরিপূরণ হওয়ায় সরকার ও আইনমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। বস্ততঃ সংসদের সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হওয়ায় আইনটি যে বিশিষ্টতা অর্জন করেছে তাকে অব্যাহত রাখতে ঐ আইনের নির্দেশ বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, জনগণ ও সংসদের সংশ্লিষ্টতা জরুরী বলে বিবেচনা করে। সেই অনুযায়ি পার্টি রাষ্ট্রপতির কাছে দেয় চিঠিতে এতদসম্পর্কিত পার্টির অভিমত জানাবে। পার্টি আশা করে এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ি আইনে বর্ণিত যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবেন। ওয়ার্কার্স পার্টি একইসঙ্গে মনে করে যে, ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদকাল শেষ হলেও নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য সংবিধানে কোন সময় বেধে দেয়া হয়নি। ফলে রাষ্ট্রপতি তার বিবেচনার জন্য প্রয়োজনীয় সময় নিতে পারেন। এটা দুভার্র্গ্যজনক যে বিএনপি এবং তাদের সমমনাদলগুলো বর্তমানে এ সম্পর্কে কথা বললেও তাদের শাসনামলে নির্বাচনী ব্যবস্থায় এতদ্সংস্কার দুরে থাক, ভুয়া ভোটের তালিকা সংশোধন করতে রাজী হয় নাই। ২০০১ সালের নির্বাচনের ফলাফল পক্ষ নিতে তারা যেমন বিচারপতি লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ব্যবহার করেছে। তেমনি সে সময় তত্বাবধায়ক সরকার সংস্কারের দাবীকে অস্বীকার করে বহু ঘটনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি ইয়াজুদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করে নির্বাচনী ফলাফলকে তাদের পক্ষে নিতে যে পরিস্থিতির তৈরী করে যার ফলে এ দেশে আবার সেনাশাসনের যথেচ্ছাচার দেখতে হয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোকে দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আহবান জানান হয়। অন্যদিকে কতিপয় বামদলের নেতিবাচক সমালোচনা করে বলা হয়, এটা ঠিক যে সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, নিয়োগই যথেষ্ট নয়, এর জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত নির্বাচনী ব্যবস্থার যা নির্বাচনে ক্ষমতা, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, অর্থ, অস্ত্র ও ধর্মের ব্যবহারকে বন্ধ করতে পারে।