Home কৃষি রাজশাহীর মিষ্টি পানের জিআই নিবন্ধন চেয়ে আবেদন

রাজশাহীর মিষ্টি পানের জিআই নিবন্ধন চেয়ে আবেদন

40

পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী অফিস :
রাজশাহীর কৃষকের প্রধান অর্থকরী ফসল মিষ্টি পানের জিআই নিবন্ধন চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বরাবর আবেদন করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জিআই আবেদনের সকল প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করেছেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ সোনার দেশকে বলেন, রাজশাহীর ঐতিহ্য মিষ্টি পান। জিআইয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে আবেদনের উদ্যোগ নিয়েছি। যেমনটা নাটোরের কাঁচাগোল্লা করেছি।

তিনি আরও বলেন,রাজশাহীবাসীর কাছে সারাজীবনের একটা বিষয় থাকবে যে,পানের স্বত্ব হলো। যখন জিআই পণ্যের স্বীকৃতি মিলবে তখন মিষ্টি পানের চাহিদাও বাড়বে। আমাদের যারা প্রান্তিক কৃষক আছেন তারা পানের দাম পাবেন। অন্য পানের চেয়ে আমাদের পানের চাহিদা দেশসহ সারা বিশ্বে বাড়বে। এর ফলে আমাদের প্রান্তিক কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে এবং বিশ্ব দরবারে রাজশাহীর পরিচিতি ও সুনাম বাড়বে। রাজশাহীর মিষ্টি পানের ডকুমেন্টেশন তৈরিসহ আবেদন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করায় তিনি ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)- ধন্যবাদ জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী,নেজারত ডেপুটি কালেক্টর শামসুল ইসলাম,ই-কমার্স ডেভেলপমন্টে সেন্টার (ইডিসি) সদস্য প্রতাপ পলাশ,দেলোয়ার,সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

পান রাজশাহীর প্রধান অর্থকরী ফসল। এ জেলার মাটি ও জলবায়ুর কারণে প্রচাীন আমল থেকে মিষ্টি পানের উৎপাদন হয়ে আসছে। পান চাষে কৃষকরা জড়িয়ে আছে বংশপরম্পরায়। মোহনপুর,বাগমারা, দূর্গাপুরে রয়েছে অসংখ্য শতবর্ষী পানের বরজ। পান চাষে ভাগ্য বদলেছে হাজার হাজার কৃষকের। কয়েক লাখ মানুষের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন রাজশাহীর মিষ্টি পান।পানের কারণে রাজশাহীতে বেড়েছে সরিষা আবাদ,বাঁশ,নালিয়াসহ নানা রকম সহযোগী পণ্যের চাহিদা। যার ফলে নানাভাবে রাজশাহীর অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে মিষ্টি পান।

জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৪৯৬ হেক্টর জমিতে মিষ্টি পানের আবাদ হয়েছে। যার ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬৬৭৮ মেট্রিক টন।

উল্লেখ্য,জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ নাটোরে জেলা প্রশাসক থাকাকালে কাঁচা গোল্লার জিআই নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। যা দেশের ১৭ তম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।