Home বাণিজ্য ও অর্থনীতি রমজানে ৩০ গুন বেড়েছে মুড়ির চাহিদা কারখানা গুলোতে ব্যস্ততা

রমজানে ৩০ গুন বেড়েছে মুড়ির চাহিদা কারখানা গুলোতে ব্যস্ততা

23

মো.পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী: প্রতিবছর রমজান মাস আসলেই ইফতারিতে মুড়ির চাহিদা থাকে ব্যাপক। ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে,স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মুড়ির চাহিদা ৩০ গুন বেড়ে যায়। এ কারণে রমজানকে ঘিরে বিশেষ পরিকল্পনাও নেয় কারখানাগুলো। আর চালের দামের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ হয় মুড়ির দাম।

রাজশাহী নগরীর মুড়ি কারখানা ও বিভিন্ন দোকান গুলো ঘুরে দেখা যায়,মহল্লার ছোট ছোট মুদি দোকান থেকে শুরু করে বাজারের সকল মুদিসহ অন্যান্য দোকানেও মুড়ি বিক্রি হচ্ছে। মান ভেদে খুচরা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে,চালের দাম বেশি থাকার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় মুড়ির দাম বেশি। আর রমজানের মধ্যে মুড়ির দাম বৃদ্ধির তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। তবে চালের দাম বাড়লে মুড়ির দাম বাড়বে।

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সিয়াম-সাধনার মাস পবিত্র রমজান। রমজানের অন্যতম দু’টি বিষয় সেহেরী ও ইফতার। আর ইফতারের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে কেনাকাটা করতেও নগরীর দোকান গুলোতে প্রচুর ভিড় ছিলো। মুড়ি দোকান গুলোতেও ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আজ বিকেল থেকে নগরীর মোড়ে মোড়েও অস্থায়ী দোকানে ইফতারির অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে মুড়ি বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।

এদিকে,মুড়ি কারখানায় বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। নগরীর বিসিক এলাকায় অবস্থিত রাতুল বেকারীর সত্বাধিকারী মো. মানিক হোসেন জানান,আগে তিনি প্রতিমাসে ১০ বস্তা করে মুড়ি বিক্রি করতেন। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মুড়ি থাকে। সারা বছর মুড়ির বেচা বিক্রি খুবই কম থাকে। তবে রমজানে এখন প্রতিদিন ১০ বস্তা করে মুড়ি সরবরাহ দিতে হবে। আরও বেশি উৎপাদন করতে পারলে আরও বিক্রি হতো। কিন্তু আমার ক্যাপাসিটি
কম।

এদিকে,রমজানকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মনিটরিং এ নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো.সেলিম জানান,অন্যান্য প্রণ্যের ন্যায় মুড়ির বাজারটাও তারা তদারকি করছেন। নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কেউ দাম নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।