Home জাতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিক যুগেও পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা

যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিক যুগেও পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা

35

সুমন আদিত্য,জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ১৫-২০টি গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা। উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের সানন্দবাড়ী নবীনাবাদ গ্রাম নামক স্থানে জিঞ্জিরাম নদী পারাপারে এখনও একমাত্র ভরসা নৌকা। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ ১৫-২০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। এছাড়াও ডাংধরা ইউনিয়নের পাথরেরচর কুমারেরচর বাঘারচর মুকিরচর গ্রামের জনসাধারণ পারাপার হয়ে আসছে।

১০ অক্টোবর সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে চরআমখাওয়া ও ডাংধরা দুই ইউনিয়নের নবীনাবাদ,কবিরপুর, সিলেটপাড়া, মাদারচর, চেংটিমারী, চরমাদার, হরিপুর, মাস্টারপাড়া, গোয়ালকান্দা গ্রামসহ দুই ইউনিয়নের ১৫-২০টি গ্রামের আনুমানিক ২৫ হাজার মানুষের নৌকাই একমাত্র ভরসা। যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিক যুগে এসেও স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও ছোট জিঞ্জিরাম নদীর ওপর দিয়ে পারাপারের জন্য দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী নবীনাবাদ নামক স্থানে নদীর ওপর আজও কোন সেতু হয়নি। যানবাহন চলাচলের সরাসরি কোন পথ না থাকায় স্থানীয় কৃষকরা, তাদের উৎপাদিত ধানসহ কৃষিপণ্য সামগ্রী সহজভাবে বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক মান্নান ও হাকিম জানান, ৫ মণ ধান বাজারে আনতে গাড়ি ও নৌকা ভাড়া ১৭০ টাকা লাগে। অথচ সেতু হলে খরচ হবে ১৫-২৫ টাকা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার সরকার বলেন, স্বাধীনতার পূর্ব থেকে এখানে নৌ- খেয়া ঘাট চলছে এবং নিশ্চিত ১০০ বছর পার হয়েছে।

সানন্দবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শরীর চর্চা শিক্ষক আশরাফ হোসেন জানান, আমরা যুগ যুগ ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হয়ে আসছি। বছরের পর বছর কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্যসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহম্মেদ জানান,ওই জায়গায় যে রাস্তাটি আছে সেটির আইডি নম্বর আছে কিনা দেখতে হবে এবং ওই জায়গাটি সম্পর্কে যে ভালো বলতে পারবে, এমন একজন ব্যক্তি কার্যালয়ে আসলে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।