মোংলা থেকে মো. নূর আলমঃ ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় মোংলায় উপজেলা প্রশাসন, মোংলাপোর্ট পৌরসভা, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর সকালে মোংলা উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ মাইকিং করে উপকূলীয় মোংলাবাসীকে সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সোমবার থেকেই উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা এবং বন্দরের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব এলার্ট ৩ জারি করা হয়েছে। পন্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করা হয়েছে। বন্দরে অবস্থানরত নৌযান গুলিকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। ৭নং বিপদ সংকেতের প্রভাবে সাগর ও নদীতে উত্তাল ঢেউ চলছে। মুহুর্তে মুহুর্তে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে নদীর দু’পাড়ে। প্রচন্ড বাতাসসহ একটানা বৃষ্টি যেন থামছেইনা। আতংকে মানুষজন ঘরবন্দী।
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বলেন,’ আমাদের কাছে সোমবার দুপুরে বিপদ সংকেত জারির কাগজ আসার পরই সবগুলো ফ্যাক্টরীকে ছুটি দিতে বলেছি। এখন সব ফ্যাক্টরী বন্ধ ‘।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, ‘সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর আমি নিজে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছি। এছাড়া সকালে ফেরীসহ সকল নৌযান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোংলা ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এই আতংকে সোমবার সকাল থেকে পৌর শহরর ৩২টিসহ ১০৩ টি আশ্রয়কেন্দ্রে দূর্গতরা আশ্রয় নিতে ছুটে যাচ্ছেন। তাদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।