Home জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়নে সন্তান কমান্ডের সংবাদ সম্মেলন

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়নে সন্তান কমান্ডের সংবাদ সম্মেলন

39

ডেস্ক রিপোর্ট: আদি সংবিধানে সন্নিবেশিত বঙ্গবন্ধু সরকার ঘোষিত ৮০ শতাংশ আঞ্চলিক তথা জেলা কোটা এবং ২০ শতাংশ মেধা/সাধারণ কোটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মানে পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক ২০১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন মতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা থেকে কোটা অনুসরণ করার জন্য এবং কোন একটি কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে অন্য প্রাধিকারভুক্ত কোটার প্রার্থী দিয়ে কোটা পুরণসহ মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এর নির্দেশনা মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রার্থীদের প্রতিযোগিতা মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীদের মধ্যে সীমিত প্রতিপালনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্তি।বুধবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি মেহেদী হাসান ।

লিখিত বক্তব্যে বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানিদের দুঃশাসন শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালিদের অব্যহত সংগ্রামের মধ্যমে অর্জিত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ বিনির্মান ও পরিচালনায় সকল অঞ্চলের মানুষকে সরকারী চাকুরীতে সুযোগদানে আঞ্চলিক কোটারপ্রবর্তন হয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় চাকুরীতে আবেদনের ক্ষেত্রে কোটা লেখা থাকলেও প্রায়োগের ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি বিদ্যমান। বর্তমানে কোটা পদ্ধতি রহিতের নামে সরকারী, বে-সরকারী, আধা-সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকুরি প্রদানেবিশেষ গোষ্ঠি উদ্দেশ্য প্রণদিত ভাবে অনৈতিক বাসনা চরিতার্থে অপকৌশলী তোষণ পদ্ধতি চালু করেছে যার মাধ্যমে তারা আউট সোর্সিং, মাস্টার রোল, চুক্তিভিত্তিক (দৈনিক ও অন্যান্য)নানা শিরোনামে নিয়োগ বানিজ্য চালাচ্ছে যা সংবিধান বিরোধী ও বে-আইনী ।
আরও বলেন, বাস্তবে কোটায় আবেদনকারী সর্বসাধারণের সাথে একই প্রশ্নপত্রে প্রতিযোগিতায় উত্তির্ণ হওয়ার পর শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষায় কোটায় আবেদনকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় কোন প্রার্থির যোগ্যতা যথাযথ পরিমাপ করা যায়না কারণ পরীক্ষক ইচ্ছা করলে যে কেউকে পাশ ফেল করাতে পারেন, যে পরিস্থিতির স্বীকার হাজার হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের হতে হয়েছে।
সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৮ সালে কেবিনেট সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি চাকুরীতে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণী পদে ১৬৩ বছরের পরিক্ষীত কোটা ব্যবস্থা বাতিল করার জন্য সরকারের নিকট রিপোর্ট দাখিল করেছিল। সেসময় বিভিন্ন নারী সংগঠন এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের পক্ষ হতে কোটা বাতিলের রিপোর্টের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর অঙ্গ সংগঠন “মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড” বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের (মুক্তিযোদ্ধা কোটা সুবিধাভোগী) পক্ষ হতে আমরা উক্ত রিপোর্টের প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।

সংবাদ সম্মেলন থেকে ০৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি প্রদান। ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসক এর নিকট স্মারকলিপি প্রদান।১৪ অক্টোবর বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, পেশাজিবী, বিশিষ্টজন, কোটায় সুবিধাভোগী জেলা, নারী, ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিমিয় সভা।২৬-২৮ অক্টোবর শাহবাগ চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন। ২৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয়, জেলা-মহানগর, প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। ২৭ অক্টোবর অবস্থান কর্মসুচি এবং ২৮ অক্টোবর সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপন্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডরে সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম রেজাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।