Home জাতীয় মানুষের সাথে মিশে আছে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য: রাষ্ট্রপতি

মানুষের সাথে মিশে আছে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য: রাষ্ট্রপতি

24

ডেস্ক রিপোর্ট : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমাও কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষ্যে আমি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
মহামতি গৌতম বুদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় বিশ্ব গঠনে আজীবন সাম্য, মৈত্রী, মানবতা ও শান্তির অমিয় বাণী প্রচার করে গেছেন। তাঁর আদর্শ ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল ও মানবিকতায় পরিপূর্ণ। বুদ্ধের অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বিশ্বে বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য। এ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধবিহার এর উজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করছে। ‘চীবর’ হলো বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র। কঠিন চীবর দানকে বলা হয় দানশ্রেষ্ঠ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে এ দানোৎসব সকলের মধ্যে গড়ে তোলে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি। ত্যাগ, সংযম, নিয়মানুবর্তিতা আর কঠোর ধ্যান-সাধনার মাধ্যমে উদযাপিত ‘কঠিন চীবর দান’ ভক্তদের বৌদ্ধের প্রকৃত অনুসারী হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমি আশা করি, যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় ‘কঠিন চীবর দান’ উদযাপনের মাধ্যমে বৌদ্ধ সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল ধরে বয়ে চলা এ সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য। আমাদের সকলের দায়িত্ব সম্প্রীতির এই ধারা অব্যাহত রেখে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে যার যার অবস্থান থেকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করা। করোনা মহামারি ও বিশ্বব্যাপী নানাবিধ সংকটের কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির ফলে নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ নানা সীমাবদ্ধতার মাঝে দিনাতিপাত করছে। আমি সমাজের দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উৎসব সবার জন্য সুখ-শান্তি আর সাফল্য বয়ে আনুক-এ কামনা করি।
জয় বাংলা।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”