Home খেলা ‘মাঠে গোপন সংকেত পাঠানোর কোনো মানে নেই’

‘মাঠে গোপন সংকেত পাঠানোর কোনো মানে নেই’

39

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘২ ডি, ‘ডি ৫, এ২, সি৪, এবং ডি’

এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার কল্যাণে এই ‘কোডেড সিগন্যাল’গুলোর সঙ্গে দর্শকদের পরিচিত হয়ে যাওয়ার কথা। শ্রীলঙ্কার কোচ ক্রিস সিলভারউড ও দলের অ্যানালিস্ট ড্রেসিংরুমে থেকে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ম্যাচে এই কোডেড সিগন্যাল দিয়ে ‘গোপন বার্তা’ পাঠিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে। অন্য কেউ এর অর্থ জানার চেষ্টা করেও লাভ নেই। শুধু শ্রীলঙ্কা দলই জানে এর অর্থ।
সিলভারউডের ক্ষেত্রে এই গোপন সংকেত পাঠানো অবশ্য নতুন কিছু না। ইংল্যান্ড দলের কোচ থাকতেও মাঠে এউইন মরগানকে এভাবে গোপন সংকেত পাঠিয়েছেন তিনি। মাঠে অধিনায়ক থাকতে বাইরে থেকে এভাবে গোপন সংকেত পাঠানো কতটুকু বিধিসম্মত? এই প্রশ্ন ছিল সব সময়ই। তখন সিলভারউডের এই কাজের সমালোচনা করেছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। তবে ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগান তাঁর কোচের এই কাজের সমর্থন দিয়ে যুক্তিও দিয়েছিলেন।
মাইকেল ভনের মতো সিলভারউডের এই কাজের সমালোচনা করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি ল্যান্স ক্লুজনার। জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটিং কোচের কাছে এই সংকেতের কোনো মূল্যই নেই, ‘এটা দেখতে আকর্ষণীয় লাগলেও, আমার কাছে এর কোনো মূল্য নেই। কোচরা খুব সহজেই প্রতি ওভারের মাঝে কিংবা পানি পানির বিরতিতে বার্তা পাঠাতে পারে। মাঠে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন, এমন বিশ্বাস যদি অধিনায়কের ওপর থাকে তাহলে এমন গোপন সংকেত পাঠানোর কোনো মানে নেই।’
শ্রীলঙ্কার কোচ থাকাকালীন নিজে এমন কিছুর ব্যবহার না করলেও এটা অধিনায়ককে বেশ কিছু অপশন দেয় বলে মনে করেন মিকি, ‘ওই সিগনালগুলো অধিনায়ককে অনেকগুলো অপশন দিয়ে থাকে। অনেক সময় অধিনায়ককে মনে করিয়ে দেয় যে কী করা যেতে পারে। এটা যদিও অধিনায়কের ব্যাপার সে এটা ব্যবহার করবে কি না।’
যার কৌশল নিয়ে এত কথা, সে সিলভারউড নিজেও এই কাজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মাঠে গোপন সংকেত পাঠানোয় তিনি কোনো সমস্যা দেখছেন না, ‘এটা মহাকাশ বিজ্ঞান নয়। ব্যাটসম্যান স্ট্রাইকে থাকতে সেই মুহূর্তে ঠিক কী করলে ভালো হয়, সেসব পরামর্শই দেওয়া হয়েছে। এখন অনেক দলই এসব করে। এটা স্রেফ অধিনায়ককে জানানো যে এই কাজটা করা যায়। কীভাবে করতে হবে, সেটা অধিনায়ককে বলা হচ্ছে না। দলের পক্ষ থেকে স্রেফ কিছু পরামর্শ, এই যা।’
প্রথমআলো