Home প্রচ্ছদ মদ-সিগারেট খেয়েও ১৩৫ বছর বেঁচে ছিলেন চীনের এই নারী

মদ-সিগারেট খেয়েও ১৩৫ বছর বেঁচে ছিলেন চীনের এই নারী

31

ডেস্ক রিপোর্ট: চীনের কর্মকর্তাদের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি আর এই পৃথিবীতে নেই। আলমিহান সেয়িতি নামে ওই মহিলা গত সপ্তাহেই প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ১৩৫ বছর। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তার নাম উঠতে উঠতেও ওঠেনি। এমনই দুঃখজনক খবর শোনালেন চীনা কর্মকর্তারা। গিনেস বুকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা হিসেবে যিনি রেকর্ড করেছিলেন, তার বয়স ১১৮ বছর। তার পরবর্তীতে এই মুহূর্তে এই রেকর্ডটি জাপানের কেন তানাকার নামে রয়েছে।

কিন্তু দ্যা সান-এর এক প্রতিবেদনে যে মহিলার কথা বলা হয়েছে তার বয়স ছিল প্রায় ১৩৫ বছরেরও সামান্য বেশি। তিনি গত সপ্তাহেই মারা যান। চীনের কর্মকর্তাদের মতে, এই নারী ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ১৩৫ বছর। সেখানে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মহিলার বয়স মাত্র ১১৮ বছর।

চীনা কর্মকর্তাদের মতে, আলমিহান সেয়িতির জন্ম ২৫ জুন, ১৮৮৬ সালে। তখন চিনে কিং রাজবংশের রাজত্ব চলছিল। কিন্তু গত সপ্তাহেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আলামিহান। যদি চিনা কর্মকর্তাদের এই দাবি বিশ্বাস করা হয়, তবে আলমিহান সেয়িতি-ই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা হয়ে উঠবেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি প্রতি সপ্তাহে এক কেজি চকলেট খেতেন। এখানেই শেষ নয়, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি ক্রমাগত সিগারেট ও মদ সেবন করেছেন। তবে দুঃখের বিষয়, তার পরিবার বা চীনা কর্তৃপক্ষ তার বয়স সম্পর্কে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।

আলমিহান সেয়িতির মৃত্যু হয়েছে এই বছরের ১৬ ডিসেম্বর। জীবনে তিনি দু’বার ক্যানসারকে পরাজিত করেছেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে আলমিহানের বিয়ে হয়েছিল। দ্যা সান-এর খবর অনুযায়ী, তার স্বামী মারা যান ১৯৭৬ সালে। চকোলেটের প্রতি ভালোবাসা ছাড়াও আলমিহান গান গাইতে খুব পছন্দ করতেন। এছাড়াও তিনি অনেক ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে জানতেন। তার পরিবারের সদস্যদের মতে, মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তিনি পরিষ্কার দেখতে ও শুনতে পেতেন, তবে হাঁটাচলায় সামান্য সমস্যা হত।

দ্যা সান-এর খবর অনুসারে, আলমিহানের পরিবার তার বয়স যাচাই করার জন্য কখনওই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।-ইত্তেফাক