Home সারাদেশ ভাগ্যবান জেলে।। সাগরে জাল ফেলেই এক টানে ধরা পড়ে ৯৬ মণ ইলিশ

ভাগ্যবান জেলে।। সাগরে জাল ফেলেই এক টানে ধরা পড়ে ৯৬ মণ ইলিশ

25

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: জেলে মিজান মাঝি গভীর সমুদ্র থেকে ট্রলারভর্তি করে ইলিশ নিয়ে এসেছেন আড়ৎ ঘাটে। দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা ও বৈরী আবহাওয়া কাটিয়ে সে পাঁচ দিন আগে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যায়। ভাগ্যবান এই জেলে জাল ফেললেই তার জালে ধরা পড়ে কাংখিত ইলিশ। সোমবার দুপুরে মৎস্য বন্দর মহিপুরের ফয়সাল ফিস মাছের আড়তে সে নিলামে এ মাছগুলো বিক্রি করেন। আর এই যাত্রায় ৯৬ মণ ইলিশ ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পেরে খুশি ট্রলার মালিকসহ সংশ্লিষ্ট জেলেরা।
ভাগ্যবান ট্রলারের মাঝি মিজান জানান, নিজের মালিকানাধীন এফবি ভাই ভাই নামের ট্রলার ও জেলেদের নিয়ে ৫ দিন আগে নোয়াখালীর সামরাজ থেকে গভীর সমুদ্রে যায়। এরপর সাগরে জাল ফেলার পরও দেখা মিলছিল না মাছের। কিন্তু রবিবার পায়রা বন্দরের শেষ বয়ার দিকে সাগরে জাল ফেলার পর এক টানে ধরা পড়ে ৯৬ মণ ইলিশ। তবে একসঙ্গে এতো মাছ ধরা পড়ায় এবং মোকামে মাছের ভালো দাম পাওয়ায় আনন্দে সময় কাটছে এসব জেলেদের।
জেলেরা জানান, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৩ জুলাই। এরপর বৈরী আবহাওয়ার করানে সাগর উত্তাল। তাই ট্রলার নিয়ে কোন জেলে সাগরে যায়নি। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় ফের ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যাত্রা করেছেন অনেক জেলেরা। এরই মধ্যে কিছু কিছু ট্রলার মাছ নিয়ে বিভিন্ন ঘাটে ফিরে আসতে শুরু করেছে।
মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফজলু গাজী জানান, নোয়াখালীর মিজান মাঝির জালে এ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। তবে অন্যান্য জেলেদের জালে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না। অনেক জেলের সাগরে যাওয়া আসার বাজার খরচও হয় না।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, বর্তমানে ইলিশের মৌসুম চলছে। শুধু মিজান নয় আমরা আশা করছি আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে সব জেলের জালেই ইলিশ ধরা পড়বে।