Home জাতীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে মহার্ঘ্য ভাতা ও নিত্যপণ্যের রেশন দাও

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে মহার্ঘ্য ভাতা ও নিত্যপণ্যের রেশন দাও

39

ডেস্ক রিপোর্ট: ঈদের ছুটির আগে সমস্ত বকেয়া বেতন, পূর্ণ বোনাস পরিশোধ করা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান, নিত্যপণ্যের রেশন ব্যবস্থা এবং জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণাসহ স্কপের ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আজ ১৫ এপ্রিল শুক্রবার, সকাল-৯ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, নির্বাহী সদস্য এস.এম.কাদির, সাইফুল ইসলাম শরীফ, এম.এ.মিল্টন, জামাল হোসেন, রুহুল আমিন সোহাগ, মোহাম্মদ সোহেল, আনিসুর রহমান, আনোয়ার খান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, উৎসব বোনাস শ্রমিকের অধিকার কিন্তু প্রতি বছর ঈদের আগে শ্রমিকদের ন্যায্য বোনাস থেকে বঞ্চিত করতে বিভিন্ন টালবাহানা করা হয়। শ্রম আইন অধিকারের সর্বনি¤œ সীমানা হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার কথা অথচ বোনাস সর্বোচ্চ কতটুকু হবে তা উল্ল্যেখ করলেও নি¤œসীমা নির্দিষ্ট না থাকায় শ্রমিকদের ন্যায্য বোনাস থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ নেওয়া হয়। নেতৃবৃন্দ এক মাসের মুল মজুরির সমান বোনাস এবং এপ্রিল মাসের পূর্ণ বেতন ঈদের ছুটির পূর্বেই পরিশোধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, ২৭ এপ্রিলের পর থেকে মাসের অবশিষ্ট দিনগুলি ছুটি থাকবে তাই এপ্রিল মাসের পূর্ণ বেতন শ্রমিকদের প্রাপ্য।
নেতৃবৃন্দ, বেতন-বোনাস পরিশোধের পাশাপাশি ঈদের ছুটিতে শ্রমিকদের নিরাপদে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতীতে শ্রমিকের প্রকৃত মজুরি প্রায় অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় শ্রমিকদের জীবনমানের মারাত্মক অবনমন হয়েছে। দেশের উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির চিত্রের সাথে শ্রমিকদের জীবনমানের চিত্র সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই শ্রমিকদের দৈনন্দীন জীবনযাপনের মান ধরে রাখতে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণাসহ স্কপের ৯ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং অন্তবর্তী সময়ে মহার্ঘ্য ভাতা ও নিত্যপণ্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
শ্রমিকদের প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা হলে উদ্ভুত পরিস্থিতির দায় মালিকদের বহন করতে হবে বলে সাবধান করে দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, কৃষি ভিত্তিক শিল্প আর শিল্প ভিত্তিক অবকাঠামো, শ্রমজীবীদের ্ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো আর আয বৈষম্য কমানোর পরিকল্পনা ছাড়া চলমান মাথাপিছু গড় ্আয় বৃদ্ধির হিসাব শ্রমজীবী মানুষের জীবনমানকে উপহাস করার শামীল।