Home জাতীয় পথশিশুদের নিয়ে অনেকে ব্যবসাও করেন, সতর্ক থাকতে হবে–মেহের আফরোজ

পথশিশুদের নিয়ে অনেকে ব্যবসাও করেন, সতর্ক থাকতে হবে–মেহের আফরোজ

55

ডেস্ক রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক পথশিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় পরামর্শ সভায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ এমপি বলেছেন, পথশিশুদের নিয়ে অনেকে ব্যবসাও করেন। যে কারণে অনেক শিশু আশ্রয় কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসে। আবার রাস্তায় নেমে নানা অপকর্ম করে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সরকার ও বেসরকারি সংস্থায় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সকল পথশিশুকে ঘরে ফেরানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আজ রবিবার ‘পথশিশু : সরকার বেসরকানি উদ্যোগ ও করণীয়’ শীর্ষক ওই ভার্চুয়াল পরামর্শ সভার আয়োজন করে স্ট্রিট চিলড্রেন এক্টিভিস্টস নেটওয়ার্ক (স্ক্যান)। স্ক্যান সভাপতি জাহাঙ্গীর নাকিরের সভাপতিত্বে সভায় মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন স্ক্যান সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনায় অংশ নেন কনসর্ন ওয়াল্ড ওয়াইডের সমন্বয়কারী মৌসুমী শারমিন ইসলামিক রিলিফের তাইযুব তাজাম্মুল চৌধুরী, পার্লামেন্টনিউজের সাকিলা পারভীন, সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) মো. জাহিদ হোসেন, গুড নেইবার্স বাংলাদেশের রাজিয়া সুলতানা, ফেইথ ইন একশনের নৃপেন বৈদ্য, আপন ফাউন্ডেশন মো. আফতারুজ্জামান, লিডার্সের মোহন কুমার মণ্ডল, এসিডি’র শারমিন সুলতানা, সিআরএসএস’র এডওয়ার্ড রবিন বল্লভ, ঢাকা আহ্সানিয়া মিশনের আরাফাত হোসেন, সাংবাদিক রিয়াদ হোসেন প্রমূখ।
সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ বেসরকারি সংস্থাগুলোর সুপারিশের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুবান্ধব আইন-নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জন করেছে। পথশিশু কেন, আগে কারো জন্ম নিবন্ধন ছিলো না। অথচ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার এই কাজটি শুরু করেছে। এক্ষেত্রে জটিলতাগুলো নিরসন করা হবে। তিনি বলেন, পথশিশুদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। এই বিভ্রান্তি দুর করতে অবশ্যই দ্রুত জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করে আগামীতে পথশিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মূল প্রবন্ধে মনিরুজ্জামান মুকুল বলেন, টেকসই উন্নয়ন এসডিজি (লক্ষ্যমাত্রা) অর্জনে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে পথশিশুদের সঠিক সংজ্ঞা নির্ধারণ, তাদের সুরক্ষায় স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচী গ্রহণ, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত পথশিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, পথশিশুদের জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস রেসপন্স ইউনিট গঠন এবং সরকারি সংস্থা, বেসরকারী সংগঠন ও পথশিশুসহ সকলকে নিয়ে একটি ক্রস সেক্টর বডি গঠন করা প্রয়োজন। এছাড়া পথশিশুদের পূনর্বাসনে আগামী অর্থবছরে পৃথক বরাদ্দের সুপারিশ তুলে ধরেন তিনি।
সভায় পথশিশুর উৎস্য বন্ধের দাবি জানান বক্তারা। তারা বলেন, ঝড়-জলোচ্ছাস ও প্রকৃতিক দূর্যোগের কারণে প্রতিবছরই বহু মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে। যারা শহরে আশ্রয় নিচ্ছে। আর নতুন নতুন শিশু পথে নামছে। তাই দূর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে দূর্যোগ কবলিত উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে পৃথক বরাদ্দ রাখতে হবে।