Home রাজনীতি বিরোধী নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার :...

বিরোধী নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার : ফখরুল

29

স্টাফ রিপোটার: নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিয়ে মাঠ শূন্য চক্রান্ত করছে সরকার। এ উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমানসহ বিভিন্ন শীর্ষনেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা নেতাদের বিরুদ্ধেও পুরোনো মামলা সচল করে দ্রুত নিষ্পত্তি করে নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে মৃত্যদন্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু’র সুস্থতা কামনাসহ কারামুক্তির জন্য এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুস সালাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিচারের নামে প্রহসন করছে। তারা অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে আবারও পাতানো নির্বাচন করতে হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অবাধ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো যখন স্যাংশনসহ ভিসা নীতি আরোপ করছে, দেশের মানুষ যখন নিজ অধিকার আদায়ে জেগে ওঠছে, বিশেষ করে ঢাকার রাজপথ যখন জনগণ দখল নিতে শুরু করেছে তখনই আবার শুরু হয়েছে দমননীতি। শুরু হয়েছে গায়েবী মামলা। যে কর্মীকে গতকাল আটক করা হয়েছে তাকে আজকের একটি সহিংসতার মামলায় আসামী করা হচ্ছে। এগুলো করে সরকার এ দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূল করতে চায়।

তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজারো নেতাকর্মীকে হাজিরা দিতে আদালতে আসতে হয়। নিয়মিত হাজিরা দিলেও তাদের আটক করা হচ্ছে। এগুলো করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না, মানুষ আজ ঘুরে দাড়িয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছু কিছু সম্পাদক বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক সরকারকে ডিপেন্ট করে কথা বলছেন। গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছেন। সেই সবক দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি তাদের আহবান করবো আপনারা জনগণের কাতারে আসুন। জনগণ কি চায় তা শুনুন।

তিনি বলেন, সরকারের রাখাল বালকের কথা এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করেন। অল্পদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হচ্ছে। আর এ আন্দোলনে ঢাকা মহানগর বিএনপিকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মৃধা, আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, আনম সাইফুল ইসলাম, লিটন মাহমুদ, সেকেন্দার কাদির, হাজী মনির হোসেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুবদল দক্ষিণের আহবায়ক খন্দকার এনামুল হক, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, দক্ষিণ ছাত্রদলের আহবায়ক পাভেল শিকদার, সদস্য সচিব নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির, দক্ষিন মহিলা দলের সদস্য সচিব নার্গিসসহ ওয়ার্ড, থানা ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।