Home স্বাস্থ্য বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশাল হাসপাতালের উদ্বোধন জুলাইতে

বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশাল হাসপাতালের উদ্বোধন জুলাইতে

28

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান বলেন, আটশত থেকে সাড়ে আটশত বেডের এই হাসপাতালের নির্মাণ কাজের দুটি অংশের মধ্যে একটি হচ্ছে কন্সট্রাকশন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ইকুইপমেন্ট ইন্সটলমেন্টের কাজ। ইতিমধ্যে ইকুইপমেন্টের ৮০ শতাংশ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চলে এসেছে। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে স্থাপনের কাজ চলছে। শেষ হবে জুনের মধ্যেই।

তিনি বলেন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইকুইপমেন্টও চলে এসেছে কোরিয়া থেকে। হাসপাতালে বেডর স্থাপনের কাজ চলমান। ফার্নিচার বসানোর ৭২ শতাংশ কাজ এমাসেই সম্পন্ন হবে। গাড়ি পার্কিং এবং গার্ডেন ও হাসপাতালের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজও প্রায় শেষের পথে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, তবে আমাদের কাজগুলো আরও আগেই শেষ হতো। কিন্তু ঈদের কারণে আমরা ধাক্কা খেয়েছি। রোজার ঈদে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যাওয়াতে কাজ কিছুটা পিছিয়েছে। ফলে চুক্তি অনুযায়ী আমরা চলতি বছর জুনের ৩০ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো না। তবে সেপ্টেম্বর নাগাদ সুপার স্পেশাল হাসপাতালের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

তিনি আরো বলেন রোগী ভর্তি শুরু হবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি। তার আগেই হাসপাতালের উদ্বোধন করা হবে।

ডা. জুলফিকার রহমান বলেন, আমাদের স্বপ্নের পদ্মাসেতু জুনের শেষে উদ্বোধন হচ্ছে। আমাদের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সাহেব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলেই জুলাই এর যে কোন দিন হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হবে। রোগী ভর্তি শুরু হবে সেপ্টেম্বর- অক্টোবরে।

তিনি আরো বলেন, এই প্রজেক্টের মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। মেয়াদ বাড়ালেই কন্সাট্রাকশনের ভিতরের অসম্পন্ন ছোট ছোট কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে। এক কথায় আমাদের হাসপাতালের কাজ শেষ পর্ষায়ে চলে এসেছে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, আমাদের চুক্তিতে আছে, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত জনশক্তির মধ্যে ১৪০ জনকে কোরিয়া থেকে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে আনতে হবে। ইতোমধ্যে ৭৫ জন প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরেছেন। বাকিদের মধ্যে একটি গ্রুপ জুলাই, আরেকটি গ্রুপ অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে আসবেন।

তিনি জানান, জুলাই থেকে হাসপাতালের ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। সেই সঙ্গে ইকুইপমেন্ট ইনস্টলমেন্টের টিমও গঠন করা হয়েছে। হাসপাতাল ম্যানেজমেন্টের জন্য উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন হয়েছে। টিমে রয়েছেন একজন প্রো ভিসি, প্রকল্প পরিচালক, একজন ডেপুটি ডিরেক্টর ও প্রক্টর। উপাচার্য কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রতিটি বিভাগের চিকিৎসার মানোন্নয়নে কাজ করছেন।

ডা. জুলফিকার রহমান খান বলেন, ইতিমধ্যে নিয়োগের ক্ষেত্রে উপাচার্যকে দক্ষজনবল নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায়ও চলছে। এমাসেই ১৪৫ জনকে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন ও দেওয়া হয়েছে। এই হাসপাতালে ১২শত জনবল লাগবে আপাতত, এর মধ্যে ৫০০ নার্স ও ৭০০ অন্যান্য স্টাফ লাগবে। আগামী মাসে দ্বিতীয় নিয়োগ বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন, এভার কেয়ার, ইউনাইটেড, স্কোয়ারের চেয়ে কম খরচে চিকিৎসা সেবা পাবে দেশের মানুষ এই হাসপাতালে। উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, এভার কেয়ার বা ইউনাইটেড হসপিটালে কেবিন খরচ ১০ হাজার টাকা হলে বঙ্গবন্ধু স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৪০০০ থেকে ৬০০০ হাজার টাকায় তা পাওয়া যাবে। সাধারণ কেবিন হবে ২০০০ টাকা, কর্তৃপক্ষকে এই প্রস্তাব করা হয়েছে। আর চিকিৎসা ব্যায় কতটা কম নেওয়া যায় তা নিয়ে চলমান রয়েছে আলোচনা। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ভারতের চেয়ে কম খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের খরচ নিয়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

পরিচালক বলেন, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবা উন্নত এবং ব্যয় অন্যান্য দেশের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম হবে।-আমাদের সময়.কম