Home রাজনীতি একতরফা ‘আমি আর আমি’র নির্বাচনী তামাশা এখনই বন্ধ করুন: বাম জোট

একতরফা ‘আমি আর আমি’র নির্বাচনী তামাশা এখনই বন্ধ করুন: বাম জোট

16

স্টাফ রিপোটার: প্রহসনের একতরফা নির্বাচন আয়োজন বন্ধ, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, সকল দলের অংশগ্রহণে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগ আজ ৩ জানুয়ারি ২০২৪ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী)-র নেতা জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক নজরুল ইসলাম।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, সদস্য জুলফিকার আলী, সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য সাজেদুল হক রুবেল, ডা, ফজলুর রহমান, জলি তালুকদার, কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, ডা. হারুন অর রশীদ, বাসদ (মার্কসবাী)র রাশেদ শাহরিয়ার, মানস নন্দী, সমাজতান্ত্রিক পার্টির রুবেল সিকদার।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে একটি কলঙ্কজনক নির্বাচন হতে যাচ্ছে, ‘আমি আর আমিই’-এর। নির্বাচন কমিশন ওদের আইনি সীল দেবে। এই নির্বাচনে জনগণের কোন আগ্রহ বা অংশগ্রহণ নাই। এঅবস্থা বহাল রেখে নির্বাচন হলে, দেশের ইতিহাসে আরেকটি কালো অধ্যায়ের সূচনা হবে।
তাই ৭ জানুয়ারির তামাশার নির্বাচন বাতিল করে, সংসদ ভেঙে দিয়ে সকল দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ দেশে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ব্যহত হলে, কর্তৃত্তবাদী স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের ধারা সম্প্রসারিত হবে। সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তির অপতৎপরতা বাড়বে। দেশ আরও গভীর সংকটে পড়বে। এর দায় নির্বাচন কমিশন ও সরকারকেই নিতে হবে।
সরকার এসব কথা উপেক্ষা করে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাইলে, ভোট কেন্দ্রে না যেয়ে ভোট বর্জনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ও ডামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে গণরায় দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোট দেয়া কিংবা ভোট বর্জনের অধিকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। সরকার দলীয় নেতারা ভোট কেন্দ্রে না গেলে সামাজিক সুরক্ষা কার্ড বাতিলের হুমকী দিচ্ছে। জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে নেওয়া অসাংবিধানিক অগণতান্ত্রিক। যারা এটা করবেন তাদের একসময় জনগণ আইনের মুখোমুখি দাড় করাবে।