Home রাজনীতি বিএনপিসহ বিরোধী দলের উপর হামলার প্রতিবাদে বাম জোটের বিক্ষোভ

বিএনপিসহ বিরোধী দলের উপর হামলার প্রতিবাদে বাম জোটের বিক্ষোভ

30

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ৩০ জুলাই বিকাল ৫টায় পল্টন মোড়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট এর উদ্যোগে বিএনপিসহ বিরোধী দলের কর্মসূচীর উপর আক্রমণ—হামলা—গ্রেফতার এর প্রতিবাদে এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোট, কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক এবং বাসদ (মার্কসবাদী)—এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ’র কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জনার্দন দত্ত, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন,“দেশের প্রায় সকল সক্রিয় বিরোধী দলই নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলন করছে এবং এই দাবি ইতিমধ্যে একটি জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেই দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে বিরোধী দলের আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন করছে। জনগণের কাছে এটা স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগ পূর্বের ন্যায় এবারও একটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে। এটা জনগণ হতে দিতে পারেনা।”

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “আমরা দেখেছি গতকাল বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন দল ও জোটের কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা একজোট হয়ে তাদের উপর কি নির্মমভাবে আক্রমণ করেছে— নির্যাতন করেছে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে হামলাকারী পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবি করছি। এই সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, আওয়ামী লীগের তথাকথিত শান্তি সমাবেশ থেকে তাদের নেতারা যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছে তাতে বোঝা যায় তারা একটি সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে দেশকে নিয়ে যেতে চাইছে।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার আজ দেশের যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে নির্দলীয় তদারকি সরকার গঠন করে তার অধীনে নির্বাচন আয়োজন করা ছাড়া আর কোন দ্বিতীয় সমাধান নেই এবং তা গ্রহণযোগ্যও নয়।”

নেতৃবৃন্দ গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।