Home রাজনীতি বাংলাদেশের বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না: কাদের

বাংলাদেশের বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না: কাদের

32

ডেস্ক রিপোর্ট: শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালীদের সব চেয়ে বড় এই উৎসবে দেশের সকল মানুষের প্রতি জানাচ্ছি অফুরাণ ভালোবাসা।

সনাতন ধর্ম মতে, “দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন” এর প্রত্যাশায় শারদীয় দূর্গা উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে। এসময় সমাজের অন্যায়, অবিচার, অশুভ এবং অশুর শক্তি দমনের মাধ্যমে বিশ^ময় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরম ভক্তিকে আরাধনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, সার্বজনীন দূর্গা উৎসবে এদেশের মুসলিম-বৌদ্ধ ও খৃষ্টান সম্প্রদায়ও আনন্দ মুখর পরিবেশে অংশ নেয়। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে বিরাজমান হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না।

এই শুভক্ষণে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি, আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-কে। দাঙ্গাজনিত কারণে, প্রায় ৫০ বছর রাজধানীতে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা বের হয়নি। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেশ পরিচালনার সময় ১৯৮৯ সালে আবারো জন্মাষ্টমীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জন্মাষ্ঠমীর শুভ দিনটিকে সরকারী ছুটি ঘোষণা করেন। পল্লীবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট। যোগ্যতার ভিত্তিতে সকল ধর্মাবলম্বীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এছাড়া, প্রতিটি পূজা-পার্বণ, মন্দির নির্মাণ ও মন্দির সংস্কারে পল্লীবন্ধুর আন্তরিক সহায়তা ছিলো সর্বজনবিদিত।

সবার শান্তিময় উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করছি।