Home কৃষি দৌলতপুরে বিএডিসি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সেচ সংযোগের লাইসেন্স প্রদানের অভিযোগ

দৌলতপুরে বিএডিসি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সেচ সংযোগের লাইসেন্স প্রদানের অভিযোগ

63

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে সেচ সংযোগের লাইসেন্স দিয়েছেন দৌলতপুর বিএডিসি কর্মকর্তা। উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নাটনাপাড়া গ্রামের মহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে শেহালা মৌজায় অবৈধভাবে সেচ সংযোগের লাইসেন্স দেওয়া হয় বলে একই এলাকার ছামসের আলী নামে বৈধ সেচ লাইসেন্সের মালিক অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে ছামসের আলী উল্লেখ করেছেন, বোয়ালিয়া ইউনিয়নের শেহালা মৌজায় একবছর ধরে বৈধ সেচ সংযোগের লাইসেন্স নিয়ে (লাইসেন্স নং ১৩৬২) সেচ কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। তার সেচ সংযোগের পাশে মহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে অবৈধভাবে সেচ সংযোগের লাইসেন্স দেওয়া হয়, যার লাইসেন্স নং ১৬৪৯। তাকে লাইসেন্স না দেওয়ার জন্য বিএডিসি কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন বৈধ সেচ সংযোগ লাইসেন্সের মালিক ছামসের আলী। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী ৮০০ ফিট দূরত্বের মধ্যে সেচ সংযোগ থাকলে অন্য কোন ব্যক্তিকে সেচ সংযোগের লাইসেন্স দেওয়া যাবেনা। সরকারী নীতিমালা উপেক্ষা দৌলতপুর বিএডিসি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ অবৈধভাবে অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে মহিদুল ইসলামকে লাইসেন্স সুবিধা দিয়েছেন। যারকারণে পরবর্তীতে বৈধ সেচ সংযোগের মালিক মো. ছামসের আলী অবৈধ সেচ সংযোগের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পেয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল জব্বার দৌলতপুর উপজেলা কৃষি অফিসারকে সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সে নির্দেশ অনুযায়ী দৌলতপুর কৃষি অফিসার সরেজমিন তদন্ত করে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে দৌলতপুর কৃষি অফিসার উল্লেখ করেন, বোয়ালিয়া ইউনিয়নের শেহালা মৌজায় ছামসের আলীর বৈধ সেচ সংযোগ হতে মাত্র ৪৮০ ফিট দূরত্বে মহিদুল ইসলামকে সেচ সংযোগের লাইসেন্স দেওয়া হয় যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এরপ্রেক্ষিতে গত ২০ জানুয়ারী দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল জব্বার সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী ৮০০ ফিট দূরত্বে সেচ সংযোগ থাকলে অন্য কোন ব্যক্তিকে সেচ সংযোগ সুবিধা দেওয়ার বিধান না থাকা সত্বেও কিভাবে এবং কেন ৪৮০ ফিট দূরত্বে সেচ সংযোগের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে তা পত্র প্রাপ্তির ৭ কার্য দিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে বলা হয় দৌলতপুর বিএডিসি কর্মকর্তাকে। ৩ মাস হতে চললেও অবৈধ সেচ সংযোগ লাইসেন্স প্রদানকারী দৌলতপুর বিএডিসি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ কি জবাব দিয়েছেন তা জানা না গেলেও অবৈধ সংযোগ নিয়ে মহিদুল ইসলাম বহাল তবিয়তে তার সেচ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বৈধ সেচ সংযোগ লাইসেন্সধারী মো. ছামসের আলী। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন মো. ছামসের আলী।
তবে অবৈধ সেচ সংযোগ লইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে দৌলতপুর বিএডিসি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লঅহ জানিয়েছেন, ছামসের গংয়ের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে মো. মহিদুল ইসলামকে সেচ সংযোগের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। লিখিত কোন সমঝোতাপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত কোন সমঝোতাপত্র না থাকলেও মোবাইল ফোনে ছবি আছে বলে উল্লেখ করেন।