Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম’ এর নামে বিবৃতির প্রতিবাদ বাকৃবি শিক্ষকদের

‘গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম’ এর নামে বিবৃতির প্রতিবাদ বাকৃবি শিক্ষকদের

50

বিশেষ প্রতিনিধি: গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের নাম ব্যবহার করে বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা। বুধবার রাতে (১১ জানুয়ারি ) গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানান।

প্রতিবাদ লিপিতে তারা বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, সম্প্রতি হাতেগোনা কতিপয় বামপন্থী ঘরনার শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন “গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম” নাম ব্যবহার করে নানা রকম বিবৃতি, সংবাদ সম্মেলনসহ অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২০২২ ও ২০২৩ সালের পরপর দুটি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে তথাকথিত গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের (প্রফেসর ড. এম. এ. এম. ইয়াহিয়া খন্দকার ও প্রফেসর ড. পূর্বা ইসলাম) প্যানেলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। প্রকারান্তরে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের মূল সংগঠন “গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম” (প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান ও প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন) কর্তৃক মনোনীত প্যানেল (প্রফেসর ড. মোঃ আসলাম আলী ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম) এবছর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। বামপন্থী শিক্ষকবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই, যেহেতু আপনারা স্বেচ্ছায় দলচ্যুত হয়েছেন এবং পরপর দুটি নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে আপনারা মূলধারা থেকে বিচ্যুত। এমতবস্থায়, আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন “গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম” নামটি আর কোনো অবস্থাতেই ব্যবহার করবেন না। বাম ঘরনার শিক্ষকবৃন্দ “গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম” নামটি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতীশীল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার যে অপপ্রয়াসে লিপ্ত, তা বন্ধ করার জন্য মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর ও মাননীয় সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি। পরিশেষে, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাকৃবি নিয়ে তথাকথিত বামপন্থী শিক্ষক সহকর্মীবৃন্দ যে বিবৃতি দিয়েছেন তা ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট।’