Home জাতীয় বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিসিএস নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিসিএস নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ

60

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিসিএস (পুলিশ)ক্যাডার এ সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত বিপ্লব কুমার দাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী।

সম্প্রতি, ৪০ তম বিসিএস এ বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হলে অভিযুক্ত বিপ্লব কুমার দাশ নিজেকে পুলিশ ক্যাডার এ সুপারিশপ্রাপ্ত বলে দাবি করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি তাকে নিয়ে পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়৷ এরপরই বিষয়টি সকলের নজরে আসে৷ এদিকে এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারই বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী।

তাদের অভিযোগ, বিপ্লব কুমার দাশ এর আগেও বিভিন্ন পরীক্ষায়, ব্যাংক, মন্ত্রনালয়ে চাকরি পেয়েছেন বলে ভুয়া নিউজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন। এ বিষয়গুলোর সত্যতা যাচাই করতে তার সহপাঠীরা তাকে প্রশ্ন করলে উত্তরে সে বাজে ব্যবহার করত।এমনকি তার বিসিএসের এডমিড কার্ড দেখতে চাইলেও সে বাজে ব্যবহার করত। বিষয়টি তার সহপাঠী অনেকেই জানেন।

এ প্রসঙ্গে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী চঞ্চল দাশ বলেন, যে ব্যক্তি প্রিলিতে টিকে না সে কিভাবে ক্যাডার হয়? তাও আবার পুলিশ ক্যাডার।

তিনি আরও বলেন, সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে বশেমুরপ্রবিতে পড়ে, এনএসআই, অডিটর চাকরি পায় কিন্তু জয়েন করে ছেড়ে দেয়, তার বন্ধুরা তার এডমিট কার্ড দেখতে চাইলে বলে মানহানির মামলা করবে৷ এসব ব্যাপার আগে যাচাই করে নেয়া উচিত৷ সত্যতা যাচাই না করলে এমন অনেক ভুয়া খবর ছড়াবে৷

এ নিয়ে সদ্য ৪০ বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের সুপারিশ প্রাপ্ত শাহ আলম সজল বলেন, বিপ্লব বিশ্বাসকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি না। আমি একটা পোষ্টের মাধ্যমে ওর সম্বন্ধে জানতে পেরেছি। প্রথমত জেনে খুশি হয়েছিলাম। তবে ওর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো জানতে পেরে আমি খুব ব্যথিত হয়েছি।

এসময় তিনি আরও বলেন, অবৈধ অভিযোগ জানতে পেরে আমি আমাদের ৪০ বিসিএসের গ্রুপে তার নাম খুঁজে পায়নি। আমি এটা জানতে পেরেছি সে কোন লাইভ প্রোগ্রামে আসতে চায় না। যদি তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য হয় তাহলে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। একইসাথে এ জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে অবান্তর মানহানির মামলা করার বিষয়ে জবাবদিহি করা উচিত।

এদিকে অভিযুক্ত বিপ্লব কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এডমিট কার্ড সময় হলে দেব৷ দুই একদিন পর দিচ্ছি৷ কাজে ব্যস্ত আছি৷ এখন পড়ছি৷ নানাবিধ কথা বলে এড়িয়ে যায়৷ পরবর্তীতে তার সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে বার বার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী উপদেষ্টা ড. শারাফাত আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে এখনও অবগত নই। তবে বিপ্লব বিশ্বাস যদি বিসিএস এর মত একটা ভাইটাল পরীক্ষা নিয়ে বা নিয়োগ নিয়ে মিথ্যাচার করে থাকে তবে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷