Home জাতীয় বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতির উপর অতর্কিত হামলা

বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতির উপর অতর্কিত হামলা

53

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বাপ্পীর উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে।

হামলার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোঃ সাদ্দাম হোসেনের সহযোগিতায় তিনি গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বুধবার (২ মার্চ) সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিপুস ক্যান্টিনে যাবার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ অতর্কিত হামলার বিচার চেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তিনি তার লিখিত অভিযোগে জানান, আমি রথীন্দ্রনাথ বাপ্পি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র। আমি দুপুর ১২ টার দিকে লিপুস ক্যান্টিনে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সুমন ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ সিদ্দিকীদহ সাত থেকে আট জন শিক্ষার্থী আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে গাছের ডাল ভেঙে উপর্যুপরি আঘাত করে আহত করে।

এ সময় তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ জানান।

এদিকে বশেমুরবিপ্রবির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার পর চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করবার উদ্দ্যেশ্যে রথীন্দ্রনাথ বাপ্পির ওপর হামলা হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বশেমুরবিপ্রবি সংসদ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা গোটা জাতির জন্য লজ্জাজ্জনক। যেখানে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত ঐক্যবদ্ধতার মাধ্যমে সংগ্রামের দ্বারা ন্যায় বিচারের দৃষ্টান্ত রেখে দিতে চাচ্ছে সেখানে আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব ছাত্র ইউনিয়ন বশেমুরবিপ্রবি’র সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বাপ্পির ওপর ছাত্রলীগের(মাঠকর্মী) একাংশের হামলা, চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করবার প্রচেষ্টারই বহিঃপ্রকাশ। কার্যত, এখন অবধি ধর্ষক গ্রেফতার হয়েছে কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলাকারীদের গ্রেফতার করেনি প্রশাসন। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও আমরা নিশ্চিত। এ কারণে যে ক্যাম্পাসের ভিতরে আজ দুপুরে রথীন্দ্রনাথ বাপ্পির ওপর হামলা। অর্থাৎ এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমানোর জন্যই প্রশাসন হামলাকারীদের নীরব সমর্থন প্রদান করছেন যা বর্তমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কাঠামোতে সৃষ্টি হওয়া সর্বব্যাপী নিপীড়ক সংস্কৃতির চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।

বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ, এহেন হামলার ও নিপীড়ক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।