Home জাতীয় বরিশালে প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের সমঝোতা

বরিশালে প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের সমঝোতা

34

বরিশাল অফিস: বরিশালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের মধ্যে সৃস্ট বিরোধের মীমাংসা হয়েছে। রোববার রাতে বিভাগীয় কমিশনারের বাস ভবনে সকল পক্ষের উপস্থিতিতে চলমান সংকটের সমঝোতা হওয়ার কথা আওয়সীলীগের দ্বায়িত্বশীল নেতারা নিশ্চত করেছেন।

গত ১৮ আগস্ট রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনের সামনে সিটি কর্পোরেশনের কর্মী এবং নগর আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে আনসার ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান এবং কোতয়ালী মডেল থানার এসআই শাহ জালাল মল্লিক বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এর পর অপরই বরিশালে আওয়ামীলীগ এবং প্রশাসনের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে প্রকট হয়।

সবশেষ রোববার ২২ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান, কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম এবং এসআই শাহ জালার মল্লিক নামধারী আসামি করে দুটি পাল্টা মামলা দায়ের করেন বিসিসির প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন ও রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার। মামলায় ৪০-৫০ জন করে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এ নিয়ে আওয়ামীলীগ এবং প্রশাসনের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। এমন পরিস্থিততে রোববার রাতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল এর মধ্যস্ততায় রাজা বাহাদুর সড়কে তাঁর সরকারি বাসভবনে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সমঝোতা সভায় বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ.কে.এম জাহাঙ্গীর হোসাইন সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ.কে.এম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সমঝোতার কিছু নেই। প্রশাসন এবং আমরা উভয়েই বুঝতে পারছি যে আমাদের মধ্যে দ্বন্দের কারণে সরকারের বদনাম হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিভাগীয় কমিশনার রাতে আমাদের সকলকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। একারণে মেয়রসহ আমরা সকলে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। চা খেতে খেতে ১০-১৫ মিনিটের মত আমাদের মধ্যে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা হয়। আসলে যা ঘটেছে সেটা অনাকাঙ্খিত এবং ভুলবোঝাবুঝি। তাই বিষয়টি এ পর্যন্তই শেষ করা হয়েছে।