Home জাতীয় বরিশলে মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

বরিশলে মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

36

বরিশাল অফিস: নগরীর নবগ্রাম রোডে হলি কেয়ার মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চন্দন সরকার (২১) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রের চতুর্থ তলার মেঝে থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। স্বজন এবং চিকিৎসাধিন অন্যান্য রোগীদের দাবি তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত চন্দন সরকার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা বড়পাইকা এলাকার বাকপ্রতিবন্ধী চিত্তরঞ্জন সরকারের ছেলে। পেশায় তিনি একজন পোল্টি খামারী এবং খুদে ব্যবসায়ী ছিলেন।

কোতয়ালী মডেল থানা জানান, খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জর্ন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত যুবকের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নিহতের মামা নিবাস মহুরী বলেন, ‘আমার ভাগ্নে মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে যেতে চায়নি। সে বলেছিল, এসব কেন্দ্রে অনেক নির্যাতন করা হয়। আমরা তার কথা শুনিনি। গত ৭ আগস্ট তাকে হলি কেয়ারে দিয়ে গিয়েছি। যখন দিয়ে রেখে গেছে তখন কোমরের বেল্টটি পর্যন্ত রাখতে দেয়নি। রশি বা গামছাতো দূরের কথা। তাহলে চন্দন কলায় ফাঁস দেয়ার রশি পেলো কোথায়।
হলি কেয়ারের ব্যবস্থাপক মাইনুল হক তমাল বলেন, হলি কেয়ার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মোট ২৮ জন রোগী ভর্তি ছিল। এর মধ্যে একজন ‘এক্সিডেন্টে’ মারা গেছে। এখন ২৭ জন আছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
ঘটনাস্থল হলি কেয়ারের চতুর্থ তলার দায়িত্বে থাকা ভলান্টিয়ার সরোয়ার বলেন, ‘একজন টয়লেটে আত্মহত্যা করেছে বলে আমায় রাত সোয়া তিনটার দিকে ডেকে তোলা হয়। উঠে দেখি চন্দন সরকার গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ভর্তি অন্যান্য রোগীরা অভিযোগ করেন, ভলান্টিয়ারের দায়িত্বে থাকা সরোয়ার কথায় কথায় রোগীকে মারধর করে। বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে চন্দন সরকারকে মারধর করা হয়। শেষ রাতে জনানো হয়, তিনি মারা গেছেন। চন্দন আত্মহত্যা করেছে বলে আমাদের বিশ্বাস হয় না। তাকে নির্যাতন করেই মারা হয়েছে। কেননা হলি কেয়ারে স্বাভাবিক কোন চিকিৎসা নেই। এখানকার একমাত্র চিকিৎসাই হচ্ছে নির্যাতন। মারদিলেই নাকি সবাই সুস্থ থাকে, এটা চিকিৎসা কেন্দ্রের লোকেদের দাবি।
অভিযোগ উঠেছে, মাদকাসক্তি চিকিৎসা সহায়তা এবং পুনর্বাসন কেন্দ্র হলি কেয়ারের পূর্বের নির্যাতনে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের উদাসিনতায় বিষয়টি চাপা পড়ে যায়।