Home কৃষি বরই বাগানে বদলে গেছে মিজানুরের ভাগ্য

বরই বাগানে বদলে গেছে মিজানুরের ভাগ্য

27

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। ছোট ছোট গাছ বরইয়ের ভারে নুইয়ে পড়েছে। দেখতে আপেলের মতো লাল বর্নে। ৭ থেকে ৯ ফুট লম্বা প্রতিটি গাছে গাছে শুধু দুলছে। বাগানের চারদিকে তাকালে শুধু বাহারি রংঙ্গের বরই আর বরই। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মিজানুর রহমন নামের এক চাষি বিভিন্ন জাতের বরই চাষ করে তাক লাগিছেন। একই সাথে বদলে গেছে তার ভাগ্য। উপজেলার টিযাখালী ইউনিয়নে মধ্য টিয়াখালীর গ্রামের এই চাষির বাগানে ৪২৫টি বরই গাছের মধ্যে দেশি টক জাতীয় পাশাপাশি রয়েছে নারকেল বরই, আপেল কুল, বাউকুল ও থাইকুল। এছাড়া বাগানটিতে বল সুন্দারী জাতের কুলও আবাদ করেন তিনি। আকার ও স্বাদে ভালো হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে বেশ।
জানা গেছে, বরই চাষি মিজানুর রহমন ২০২৩ সালে চুয়াডাঙ্গা থেকে ২৪ হাজার টাকা খরচ করে ৩৫০টি বিভিন্ন জাতের বরই গাছের চারা সংগ্রহ করেন। এর পর নিয়ে পৈতৃক প্রায় ১০০ শতাংশ জমি বরই চাষ শুরু করেন। এছাড়া কৃষি অফিস থেকে ৭৫টি বরই চারা সংগ্রহ করে তার বাগনে রোপন করেছেন। সঠিক পরিচর্যায় গাছ গুলো বেড়ে উঠে এবং এ বছর ফল ধরেছে সব গাছ গুলোতে। বর্তমানে তার বাগান ২০৫ শতাংশ জমিতে রয়েছে। বাগনের উদ্যোক্তা আশা করেছেন চলতি মৌসুমে আরো ৩৫ থেকে ৪০ মন বরই বিক্রি করবেন। এদিকে তার এমন সফলতা দেখে উজেলার বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা এখন বরই চাষে ঝুকে পরছেন।
বরই চাষী মিজানুর রহমার জানান, গাছ থেকে পাকা বরই সংগ্রহ করেই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। আরবা অনেকেই বাগানে এসে বরই কিনে নিয়ে যান। এ বছর শেষের দিকে আবহাওয়া খারাপ থাকায় ফুল ঝড়ে পাড়েছে। এছাড়া পাখির আক্রমনে অনেক বরই নষ্ট হয়েছে। তবে কৃষি অফিস থেকে আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছে। আগামি বছর আরো ভাল ফলন ফলাতে পারবো বলে আশাকরি।
স্থানীয় বাসিন্দা বশির বলেন, বরই চাষ করে যে সফল হওয়া যায় তা মিজানুর দেখিয়ে দিয়েছে। তার বাগানে বিভিন্নজাতের বরই গাছ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, মিজানুর একজন সফল চাষি। তাকে কুল চাষে সকল ধরেন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।