ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আজ ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩’ উদ্‌যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘প্রবাসীদের কল্যাণ, মর্যাদা- আমাদের অঙ্গীকার; স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও সমান অংশীদার’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি প্রিয় স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি এবং সঠিক ও সময়োপযোগী কূটনৈতিক তৎপরতায় স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অভিবাসন এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। প্রবাসীরা বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মহান মুক্তিযুদ্ধেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিদেশের মাটিতে জনমত সৃষ্টিসহ মুক্তিযুদ্ধের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন। আজও তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সাফল্যের সাথে সর্বাঙ্গীণভাবে সম্পৃক্ত। প্রবাসীরা বিভিন্ন মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ব্যবসায়িক উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছেন। প্রবাসী এবং অভিবাসী কর্মীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভকে মজবুত এবং অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
সরকার প্রবাসীদের জাতীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। প্রেক্ষিতে প্রবাসীদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করা, তাদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করাসহ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণকে অনুপ্রাণিত করতে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ পালন বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। অভিবাসী বাংলাদেশি ও অভিবাসী কর্মীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গৃহীত নানাবিধ কর্মসূচি এবং একটি ডায়াসপোরা নীতি প্রণয়নের উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০২১’ এর সফল বাস্তবায়নের পথ পরিক্রমায় ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে দেশের জনগণের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’
উদ্‌যাপনের মধ্য দিয়ে প্রবাসে বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ এবং প্রবাসী সংগঠনগুলো বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের সাফল্যগাঁথা উপস্থাপনের মাধ্যমে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা।
আমি ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”