Home জাতীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের স্ববিরোধী বক্তব্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে: টিআইবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের স্ববিরোধী বক্তব্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে: টিআইবি

36

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের স্ববিরোধী বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রত্যাশিতভাবে গ্রহণযোগ্য, অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। পাশাপাশি, সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সিইসির “হাল ছেড়ে দেওয়া” এবং প্রকারন্তরে পক্ষপাতিত্বমূলক অবস্থানের মানসিকতার সমালোচনা করেছে সংস্থাটি।

গত ১৪ অক্টোবর শনিবার সিইসি সব দলের অংশগ্রহণ না থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে যে মন্তব্য করেছেন তাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হতাশার কথা জানিয়েছে টিআইবি। মাত্র দু’দিন আগেই তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী দল বিএনপি’র অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই বারংবার অবস্থান পাল্টানো সন্দেহজনক ও বিভ্রান্তিমূলক- উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দলীয় চিন্তার ঊর্দ্ধে থেকে নির্বাচনে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি যখন তিনি বলেন, “… কে নির্বাচনে আসলো, কে আসলো না…জনগণ যদি আসেন, ভোটাররা যদি আসেন, তাঁরা ভোট প্রয়োগ করেন, তাহলেই নির্বাচনের একটা বড় সফলতা…” তখন তার এ ঘোষণায় বাস্তবে দলীয় পক্ষপাতিত্বের প্রতিফল হয়েছে যা দেশবাসীর মধ্যে হতাশা বাড়াচ্ছে। সাংবিধানিক সংস্থার প্রধানের এমন অবস্থান থাকলে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা কতোটা পূরণ হবে সেটা নিয়ে আশংকার যথেষ্ট কারণ আছে। জনগন ভোট দিলেই বড়ো সফলতা- এটি যেমন সঠিক, তেমনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অজানা থাকার কথা নয় যে, জনগনের ভোটে অংশগ্রহণের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিত সাপেক্ষে বাস্তব অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি অপরিহার্য।’ স্ববিরোধী ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান পরিহার করে নির্বাচনকালীন সরকারের পাশাপাশি প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বের ঊর্দ্ধে ভূমিকা পালনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা ও অধিপরামর্শমূলক কর্মকাণ্ডে অগ্রসর হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

টিআইবি মনে করে, আগের জাতীয় নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে আসন্ন নির্বাচন অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি। টিআইবির বিশ্বাস, সিইসি নিশ্চয়ই জানেন, শুধু আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করে নির্বাচন শেষ করলে তাতে জনগনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে না। এমন বাস্তবতায়, সিইসির গত শনিবারে বক্তব্য শুনে আশংকা হচ্ছে যে, তিনি হয়তো হাল ছেড়ে দিচ্ছেন। কোনো অবস্থাতেই এর কোনো ইতিবাচক ব্যাখ্যা দাঁড় করানো সম্ভব নয়। দেশবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে কমিশনের কাছে আরো বেশি উদ্যোগ প্রত্যাশিত।