Home জাতীয় জাতীয় ন্যুনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষনার দাবি

জাতীয় ন্যুনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষনার দাবি

33

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আলোচনা সভায় জাতীয় ন্যুনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষনা এবং বাজেটে বরাদ্ব দিয়ে রেশনিং, আবাসন ও শিক্ষাসহ সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবী।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র (টিইউসি) উদ্যোগে “উন্নয়নের সুফল থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত কেন?” শীর্ষক এক আলোচনা সভা ২০ মে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র (টিইউসি) সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এর মহাপরিচালক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়ক সেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এমএম আকাশ। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখোন টিইউসির সাধারন সম্পাদক শ্রমিক নেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সহসভাপতি মাহবুবুল আলম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, দপ্তর সম্পাদক সাহিদা পারভীন শিখা, অর্থ সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, প্রচার সম্পাদক মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগর সাধারন সম্পাদক ইদ্রিস আলী।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন মে দিবস সূচনার ১৩৬ বছর আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক কোনক্ষেত্রেই মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাদের জীবন মানের কোন উন্নয়ন ঘটেনি। শ্রমিক কর্মচারীরা এখনো বাঁচার মত মজুরি, আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারসহ অন্যান্য ন্যায়সঙ্গত অধিকার, সামাজিক মর্যাদা ও সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত। গত কয়েক বছর ধরে মুক্তবাজার অর্থনীতির দাপট এবং মুনাফাখোর ফরিয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কারসাজিতে দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্ধগতি বর্তমানে এমন অবস্থায় এসে পৌঁছেছে যে শ্রমিক কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ এক অসহায় মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

ইপিজেড এর জন্য আলাদা শ্রম আইন করা হয়েছে। একটা দেশে দুইটা শ্রম আইন কোনভাবেই থাকতে পারেনা। এটা নিয়ম বহির্ভূত। পার্টিসিপেটরী কমিটির নামে পোশাক শিল্পসহ নতুন নতুন শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার খর্ব করা হয়েছে। পার্টিসিপেটরী কমিটি কোনভাবেই ট্রেড ইউনিয়নের বিকল্প হতে পারেনা। ট্রেড ইউনিয়ন করতে না পারার কারনে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের এসব শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে দরকষাকষিও করতে পারেনা।