Home জাতীয় প্রগতিশীল ছাত্র জোটের বিক্ষোভ মিছিল

প্রগতিশীল ছাত্র জোটের বিক্ষোভ মিছিল

37

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: গত এক সপ্তাহে ঢাকার সড়কে ২ জন শিক্ষার্থী এবং এক সাংবাদিককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গতকাল (২৯ নভেম্বর) রাত ১১ টায় রাজধানী ঢাকার রামপুরায় একরামুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিনকে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। উক্ত হত্যার বিচারের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র জোট এর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে মিছিলটি সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সমাপনী বক্তব্য রাখে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদ এর সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল কাদেরী জয় ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, এবং ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদ এর সভাপতি মোঃ ফয়েজ উল্লাহ। সমাবেশে বক্তারা বলেন “ঢাকার সড়কে গণপরিবহনগুলো দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বিগত এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা ৩ জনকে হত্যার খবর দেখেছি। নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাইম এবং গতকাল একরামুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিনকে বাস চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাইমকে হত্যার পর গড়ে ওঠা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস নাইমের নামে ফুটওভার ব্রিজ করার ঘোষণা দেন। ছাত্র সমাজ এই ঘোষণা প্রত্যাখান করেছে। একটি জীবনের বিনিময়ে মেয়র লুটপাটের বন্দোবস্ত করেছেন। অথচ নাইম হত্যার দায় মেয়র তাপস কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। সড়কে যে সিন্ডিকেট এবং মাফিয়াতন্ত্র গড়ে উঠেছে তার কারণে অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে বাসচালক, হেল্পাররা। তাদের সাহায্য করেন সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। আমরা প্রগতিশীল ছাত্র জোট থেকে অবিলম্বে এই সকল হত্যার সাথে জড়িত সকলকেই বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল করে হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।”