ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ দূতাবাস ,তাসখন্দে আজ ১০ জানুয়ারি ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদারসাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসপালনকরে । এ সময়ে উজবেকিস্তানেরবিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক ও শিক্ষার্থীসহস্বনামধন্যমিডিয়া ও সাংস্কৃতিকব্যক্তিত্বএবংপ্রবাসী বাংলাদেশীবৃন্দউপস্হিতছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামদূতাবাসের কর্মকর্তা – কর্মচারী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণকরেন। এ দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক প্রদত্ত বানী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ। এছাড়াও, এ দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশে প্রত্যাবর্তন দিবসের উপরে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনাঅনুষ্ঠানেবাংলাদেশেরমহানস্বাধীনতারঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে রাষ্ট্রদূত ড.ইসলাম বিশ্বমানচিত্রেস্বাধীনসার্বভৌমদেশহিসাবেবাংলাদেশের অভ্যূদয়েবঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠভূমিকা ওদূরদর্শীনেতৃত্বেরকথাকৃতজ্ঞচিত্তেস্মরণকরেনএবংতাঁরপ্রতিগভীরশ্রদ্ধানিবেদনকরেন। তিনিবিশ্বেশান্তি ও সম্প্রীতিস্হাপনেবঙ্গবন্ধুর গৌরবময়জীবন, আদর্শ, আত্নত্যাগ ও নেতৃত্বেরপ্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তারকথাউল্লেখকরেন।বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে এ উন্নয়নে বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে তিনি উজবেকিস্তান জনগণের আরো অর্থবহ সম্পৃক্ততা কামনা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি দু’দেশের মধ্যেকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মেলবন্ধনের উপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে উজবেকিস্তান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. ওমারভ খাইরুল্লাহ, উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজের অধ্যাপক ড. খলবেকোভা বেগুইম, তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের শিক্ষক কমলা অকমোদাভা সহ উপস্থিত অনেকে বক্তব্য প্রদান করেন এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পেরে তারা আনন্দ প্রকাশ করেন। এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য তারা দূতাবাসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর একটি কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়, যেখানে ‍উপস্থিত ‍শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করেন।
বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্য ও দেশে এবং জনগনের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।